নিউজ ডেস্ক ঃ ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে দুই শতক জমিসহ ঘর তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেছেন, তিনি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা নন; আদর্শের সৈনিকও। তাই ক্ষমতা মানে জনগণের সেবা দেয়া।
সব বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যার কণ্ঠে।
গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবাররের মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই আয়োজনে আরও যুক্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গৃহ নির্মাণ স্থল হিসেবে ফরিদপুরের নগরকান্দা, বরগুনা সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও সিরাজগঞ্জের সদর প্রান্ত।
ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দেশের সাফল্যকে দৃষ্টান্ত মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে একযোগে কাজ করেছি, ঠিক একইভাবে কাজ করতে হবে দেশের উন্নয়নের জন্য। অনেক বাধা আসবে। বাংলাদেশ এভাবে এগিয়ে যাক, বাংলাদেশ উন্নত হোক—যারা স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, সেই ধরনের লোকগুলো তো আছে, তারা কখনও চাইবে না, কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
‘ইনশাআল্লাহ, আমরা তা যাব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব।’
সারা দেশে জরিপ করে আট লাখের বেশি ছিন্নমূল মানুষ পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাদের প্রত্যেককে বাড়ি তৈরি করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনও দেশে এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না, কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি শুধু তার কন্যাই না, আমি তার আদর্শে বিশ্বাস করি।
‘কাজেই আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেয়া। জনগণের জন্য কাজ করা। আর আমি আজকে যেটাই করে যাচ্ছি, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমার সব থেকে ভালো লাগে যখন দেখি, মানুষ ঘর পাওয়ার পর তার মুখের হাসিটি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন।’
কুষ্ঠ রোগী, জেলে, বেদে, ট্রান্সজেন্ডার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিকদের পুনর্বাসনেও সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবহেলিত মানুষগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের পুনর্বাসনের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। এটা আমি মনে করি, আমাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর দায়িত্ব—জাতির পিতার এই আদর্শটা মাথায় রেখে কাজ করে যাওয়া।’
বেদখল হওয়া অনেক খাস জমি উদ্ধার করায় উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যার ফলে এখন আমরা শুধু খাস জমির খোঁজ করছি না; আমরা নিজেরাও জমি কিনে, যারা এ রকম ছিন্নমূল মানুষ তাদের নামে জমি কিনে আমরা তাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি বিনা মূল্যে।’
এই কাজে দ্রুত অর্থ ছাড় করায় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এ লক্ষ্যে গঠিত তহবিলে অনুদান দেয়ায় ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ সমাজের বিত্তবানদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘বাকি যেগুলো আছে, আস্তে আস্তে আমরা সেই ঘরগুলো তৈরি করে সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দরভাবে জীবেন পেতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই কাজটিই আমরা করব, যাতে করে এই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিজের জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে যেমন বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছি, সমস্ত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, পাশাপাশি আমাদের যে সমস্ত মানুষগুলো একেবারে ছিন্নমূল, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, যারা কখনও স্বপ্নও দেখতে পারে না, তারা একবেলা এক মুঠো খাবার জোটাতে পারে না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করা, সেটাই হচ্ছে আমাদের সরকারের সব থেকে বড় লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন আমরা করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এটাকে ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই জাতি কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছি। এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।
‘আমি জানি, আমার বাবার আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে যখন দেখবে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবেন। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
‘একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেয়া যায়, আর তার মুখে যদি হাসি ফোটানো যায়, এর থেকে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ পেলেন ৩৩ হাজার গৃহহীন
তানজীর মেহেদী
ঈদ উপহার হিসেবে ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে দুই শতক জমিসহ ঘর তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেছেন, তিনি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা নন; আদর্শের সৈনিকও। তাই ক্ষমতা মানে জনগণের সেবা দেয়া।
সব বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যার কণ্ঠে।
গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবাররের মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই আয়োজনে আরও যুক্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গৃহ নির্মাণ স্থল হিসেবে ফরিদপুরের নগরকান্দা, বরগুনা সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও সিরাজগঞ্জের সদর প্রান্ত।
ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দেশের সাফল্যকে দৃষ্টান্ত মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে একযোগে কাজ করেছি, ঠিক একইভাবে কাজ করতে হবে দেশের উন্নয়নের জন্য। অনেক বাধা আসবে। বাংলাদেশ এভাবে এগিয়ে যাক, বাংলাদেশ উন্নত হোক—যারা স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, সেই ধরনের লোকগুলো তো আছে, তারা কখনও চাইবে না, কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
‘ইনশাআল্লাহ, আমরা তা যাব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব।’
সারা দেশে জরিপ করে আট লাখের বেশি ছিন্নমূল মানুষ পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাদের প্রত্যেককে বাড়ি তৈরি করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনও দেশে এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না, কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমি শুধু তার কন্যাই না, আমি তার আদর্শে বিশ্বাস করি।
‘কাজেই আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেয়া। জনগণের জন্য কাজ করা। আর আমি আজকে যেটাই করে যাচ্ছি, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমার সব থেকে ভালো লাগে যখন দেখি, মানুষ ঘর পাওয়ার পর তার মুখের হাসিটি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন।’
কুষ্ঠ রোগী, জেলে, বেদে, ট্রান্সজেন্ডার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিকদের পুনর্বাসনেও সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবহেলিত মানুষগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের পুনর্বাসনের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। এটা আমি মনে করি, আমাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর দায়িত্ব—জাতির পিতার এই আদর্শটা মাথায় রেখে কাজ করে যাওয়া।’
বেদখল হওয়া অনেক খাস জমি উদ্ধার করায় উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যার ফলে এখন আমরা শুধু খাস জমির খোঁজ করছি না; আমরা নিজেরাও জমি কিনে, যারা এ রকম ছিন্নমূল মানুষ তাদের নামে জমি কিনে আমরা তাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি বিনা মূল্যে।’
এই কাজে দ্রুত অর্থ ছাড় করায় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এ লক্ষ্যে গঠিত তহবিলে অনুদান দেয়ায় ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ সমাজের বিত্তবানদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘বাকি যেগুলো আছে, আস্তে আস্তে আমরা সেই ঘরগুলো তৈরি করে সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দরভাবে জীবেন পেতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই কাজটিই আমরা করব, যাতে করে এই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবেই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিজের জীবনের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে যেমন বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছি, সমস্ত ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, পাশাপাশি আমাদের যে সমস্ত মানুষগুলো একেবারে ছিন্নমূল, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, যারা কখনও স্বপ্নও দেখতে পারে না, তারা একবেলা এক মুঠো খাবার জোটাতে পারে না, সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করা, সেটাই হচ্ছে আমাদের সরকারের সব থেকে বড় লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন আমরা করে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এটাকে ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দিকে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই জাতি কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আজকে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছি। এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।
‘আমি জানি, আমার বাবার আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে যখন দেখবে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।’
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলবেন। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
‘একটা মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেয়া যায়, আর তার মুখে যদি হাসি ফোটানো যায়, এর থেকে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কী হতে পারে।’