Home Blog

আরএমপি,র এএসআই শাওনকে বাগে আনতে,মিথ্যা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সেবার ব্রত কাধে নিয়েই পুলিশে যোগদান করেছেন এএসআই শাওন।এএসআই হিসেবে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক,সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং চোরাচালান নিমূল সহ বিভিন্ন আরাধ দমনে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এই চৌকস অফিসার এএসআই শাওন।যেখানেই মাদকের আনাগোনা সেখানেই হানা এই অফিসারের।এরই মধ্যে দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন এএসআই শাওন। নগর পুলিশের মাদকবিরোধী,সন্ত্রাস এবং চোরাচালান নিমূলে বিশেষ অবদায় রাখায় হয়েছেন,পর পর দুইবার সেরা পুলিশ অফিসারও। আবার সেরা অফিসারের সম্মাননাটাও যেখানে লুফে নিয়েছেন তারই ঝুলিতে।অদম্য এই চৌকস অফিসার এএসআই শাওন নগরীর মতিহার থানায় কর্মরত আছেন। দায়িত্ব পালন করছেন থানার ওয়ারেন্ট অফিসাদের সাথেও। ধরেছেনও অনেক বড় বড় কূখ্যাত মাদক চোরাকারবারি আসামীদের। নগরীর মতিহার থানাধীন এলাকায় বেশকিছু কুখ্যাত মাদক জোন রয়েছে, সে সকল মাদক কারবারি অপরাধীদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন এএসআই শাওন।সাঁড়াশি অভিযানে ভেঙে দিয়েছেন একাধিক অপরাধ সিন্ডিকেট। যাহার প্রমানও দিয়েছেন অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে।যাহাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা।যেখানেই অপরাধীরদের আনাগোনা সেখানেই ফাটা কৃষ্টের মতো ঝাপিয়ে পড়েন এএসআই শাওন ও কনস্টেবল মিজান।এএসআই শাওন মতিহার থানায় যোগদানের পর অনেক অপরধীরাই আত্বগোপনে চলে গেছে আবার কিছু অপরাধীরা আত্বঙ্কে থাকে এই বুঝি আসছে এএসআই শাওন দারোগা।আর এতেই টান পড়েছে কিছু অসাধু মাদক সিন্ডিকেট অপরাধীদের পাতে। মতিহার থানা থেকে এই চৌকস অফিসার ও কনস্টেবল মিজানকে সরাতে একের পর অভিযোগ দিচ্ছে পুলিশ সদর দফতরে।অভিযোগ পড়েছে নগর পুলিশ সদরেও। কিন্তু দফায় দফায় বিভাগীয় তদন্তে এসব অভিযোগ থেকে এরই মধ্যে এএসআই শাওন অব্য‍াহতি পেয়েছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন,এএসআই শাওন। তিনি বলেন,মতিহার থানাধীন এলাকার কিছু মাদক সিন্ডিকেটের কয়েক সদস্য তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সুবিধা করতে না পেরে সে সকল মাদক কারবারিরা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ কার্যক্রমের উদ্বোধন

আলেক উদ্দীন দেওয়ান: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিএ চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ কার্ষত্রুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ ) সকালে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভবনে প্রধান অতিথি থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইব্রাহিম, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোঃ শাহজামান হক, বিআরটিএর মোটরযান পরির্দশক মোঃ সেলিম উদ্দিন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান, সহকারী পরিদর্শক আবু হুজাইফাসহ অন্যানরা।উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান, জেলা ট্র্যাক-ট্রাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আইয়ুব আলী, ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল, জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান নান্নু।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সাধারণ মানুষকে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা। একদিনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দেওয়া ও গ্রহণ করা যাবে। এতে করে বিআরটিএর সব কর্মকান্ড দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব হবে ।সড়কে কোন অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে পারবে না এবং চলাচল করলে আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখব। ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোন পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে এজন্য পরিবহন মালিক গ্রুপের নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন নিরাপদ করতে আমরা সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাব। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।মহাসড়ক মুক্ত রাখতে টাস্ক ফোর্স কমিটি, সড়ক পরিবহন ও জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ওওভারে স্পিডে কোন পরিবহন চালানো যাবেনা। একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যাত্রী পণ্য পরিবহন (আরটিসি ) ও জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি (ডি আরএসসি) এর সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে পেশাগত দক্ষতা বিকাশিত হয়- এসপি মোসাঃ সাদিরা খাতুন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট পুলিশিং ব্যবস্থা বিনির্মাণের লক্ষ্যে নড়াইল জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনসে্ বুধবার দুইদিন মেয়াদি “জনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা (Public Order Management)” প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নড়াইল জেলার জনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় প্রচলিত বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কনস্টেবল হতে এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোসাঃ সাদিরা খাতুন সুযোগ্য পুলিশ সুপার, নড়াইল।

পুলিশ সুপার বলেন, মাননীয় আইজিপিএর নির্দেশক্রমে পুলিশ সদস্যদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে পুলিশ সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের বিকাশ ঘটে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় অর্পিত দায়িত্বের প্রতি পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরো বলেন,
ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামীর যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় তিনি সকলকে নিজ নিজ দক্ষতা বৃদ্ধি করে দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা প্রদানের আহ্বান জানান। দুই দিনব্যাপী এই কোর্সে মামলা তদন্ত, আলামত সংগ্রহ, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, দাঙ্গা দমন, পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কৌশলসহ পুলিশিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেলেন রাসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বুধবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। পবিত্র ওমরাহ যথাযথভাবে পালন শেষে সুস্থভাবে যেন দেশে ফিরে আসতে পারেন, সেজন্য রাজশাহীবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন রাসিক মেয়র মহোদয়।

পবিত্র ওমরাহ পালনের সফরে রাসিক মেয়রের সঙ্গে রয়েছেন, তাঁর সহধর্মিণী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেণী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইস্তিয়াক আহমেদ সানি।

বস্তুনিষ্ঠ লেখনিতেই ছড়িয়ে পড়ে পরিচিতি, গড়ে ওঠে পাঠকের আস্থা-সাইদুর রহমান রিমন

সম্পাদকীয় ডেস্কঃ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সাংবাদিক সমাজে মূলধারার সাংবাদিকতা, ছোট বড় গণমাধ্যম, জুনিয়ন সিনিয়র সাংবাদিকতা সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের অনেককেও বেশ ম্রিয়মান থাকতে দেখা যায়, অনেকে নিজেই নিজেকে গৌণ ভাবেন। সহকর্মি ভাই বোনদের নিজের মেধা ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনির ব্যাপারে নিজেদেরই এমন আস্থাহীনতায় বেশ অবাক হই বৈ কি!
বহুল প্রচারিত অনেক মিডিয়াতেও বিতর্কিত লেখালেখির কারণে দাপুটে অনেক সাংবাদিক আস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত হওয়ার ভূড়ি ভূড়ি প্রমান রয়েছে। আবার কম প্রচলিত সংবাদপত্রে দায়িত্বশীল রিপোর্টিংয়ের কারণে সেরাদের সেরা হওয়া সাংবাদিকের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। আপনি সর্বাধিক প্রচারিত মিডিয়ায় সাংবাদিকতা পারছেন না বলে নিজেকে অযোগ্য ভেবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং আপনার লেখনিতে মেধার সাক্ষর আছে কি না, আপনার সংবাদটি অধিকতর বস্তুনিষ্ঠ কি না সেটাই মূল বিবেচ্য বিষয়।
এক্ষেত্রে আমি বরাবরই মনে করি, বেশি প্রচারিত প্রধান প্রধান মিডিয়ায় আপনার নিজস্ব আবিস্কার ও মেধার সাক্ষর রাখার সুযোগ খুবই সীমিত। সেখানে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের নিজস্ব মতামতই বেশি বেশি প্রতিফলিত হয়ে থাকে। সকল ক্ষেত্রে তাদের দায়বদ্ধতাও অতিমাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। যেমন সরকারের বিরাগভাজনের শিকার হওয়ার শঙ্কা, বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানগুলোর অসন্তষ্টি, অমুক এমপি, মন্ত্রী বেজার হন কি না, স্বগোত্রীয় শিল্প বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সংবাদে মাইন্ড করেন কি না…ইত্যাদি শতেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে প্রকৃত ঘটনা আর অবিকল সংবাদ হিসেবে প্রকাশের সুযোগ থাকে না বললেই চলে। তবে বড় বড় মিডিয়া হাউজে কর্মরত মেধাবী কিছু সাংবাদিক নানা কৌশলে ইনিয়ে বিনিয়ে হলেও প্রকৃত ঘটনাটি পাঠককে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হন। যা ‘চাকুরিজীবী সাংবাদিকদের’ দ্বারা কখনই সম্ভব হয় না। বড় আকারের প্রভাবশালী মিডিয়ায় যেসব সাংবাদিক প্রকৃতই জনস্বার্থে লিখেন তাদের গোপনে জিজ্ঞাসা করে জানুন, কত খড় কাঠ পুড়িয়ে তাদেরকে জনস্বার্থে লেখার সুযোগ তৈরি করতে হয়। কত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তবেই তাদের লেখনি প্রকাশের সুযোগ ঘটে।
অল্প প্রচারিত, কম পরিচিত মিডিয়াও যে ‘ফ্যাক্টর’ তা প্রমাণ করার জন্য ছোট্ট একটা বিষয় পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার এলাকার সংসদ সদস্য কর্তৃক বিগত ৫/১০ বছরে উন্নয়নের বিস্তৃত বর্ণনা একাধিক ছবিসহ আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করলেও তা এমপি সাহেব ও তার নিকটজনরা দেখা বা পাঠ করার কথা স্বীকারও করতে চাইবেন না। কিন্তু তার ব্যর্থতার খতিয়ানগুলো বিশ্লেষণ আকারে তুলে ধরে প্রতিবেদন করে দেখুন কিভাবে আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তখন কেউ বলবে না পত্রিকাটি কম প্রচারিত, এটা পাঠ করিনি, এতে কিছু যায় আসে না। সবাই শুধু বলবে নৌকাকে ধ্বংস করার জন্য জামায়াত বিএনপির পেইড সাংবাদিক মিথ্যা ভিত্তিহীন কথাবার্তা লিখেছে, তাকে সাইজ করাই যেন জাতীয় দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।
অতএব, মিডিয়া ছোট বড় কোনো বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে লেখনি, আপনার সত্যনিষ্ঠ লেখনি। এর আরো বড় প্রমান হচ্ছে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রচারিত বিষয়াদি। সামাজিক এসবমাধ্যম তো কখনই গণমাধ্যমের স্বীকৃতি পায় না। তবু সেখানে তুলে ধরা প্রকৃত ঘটনাবলীর ব্যাপারে সকল মহল কেন এতো সরব হয়ে উঠেন? কেন সরকার, প্রশাসন সেসব ব্যাপার সুরাহা করতে ব্যস্ততা দেখান? এর মূলে একটাই বিষয় তা হলো আপনার লেখনিতে সত্যতা রয়েছে, বস্তুনিষ্ঠতা রয়েছে। সেসব লেখা হজম করার ক্ষমতা কারো নেই।
আমাকে পছন্দ করেন এমন অনেক সাংবাদিকের মধ্যেই নিজ নিজ মিডিয়ার বিষয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখি; মূলত: তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এ লেখা। তাদের প্রতি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, বড় মিডিয়ায় চাকুরির সুযোগ পাওয়াটা আপনার পদোন্নতি নয়, বরং আপনার লেখনি আরো বেশি সংখ্যক মানুষের আস্থা কুড়ায় এটাই হলো প্রাপ্তি। গেল বছর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের বার্ষিক পুরস্কার প্রতিােগিতাতেও অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত মিডিয়ার সাংবাদিকগণই সেরা সাংবাদিকতার পুরস্কারগুলো আদায় করে নিয়েছেন। সেখানে মূলধারা কিংবা কম প্রচলিত মিডিয়া হিসেবে আলাদা মূল্যায়ন হয়নি, মূল্যায়ন হয়েছে কেবলই ভাল লেখনির, ভাল অনুসন্ধানের।
আমরা ঢাকায় শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও কক্সবাজারের ফজলুল কাদের চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, দিনাজপুরের শাহ আলম শাহী, বরিশালের রাহাত খান, পাবনা সাথীয়ার হাবিবুর রহমান স্বপণ, রাজশাহীর সাইদুর রহমান, শাহ আনিসুর রহমান, শ্রীমঙ্গলের ইসমাইল মাহমুদ, সুনামগঞ্জের সরোয়ার আজাদ, টেকনাফের আব্দুল কুদ্দুস চাদু, বগুড়া শিবগঞ্জের প্রদীপ কুমার মোহন্ত, সাভার মানিকগঞ্জ এলাকার অরুপ রায়, পাবনার বি এম ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়ার শামসুল আলম স্বপন, ঝিনাইদহের এম রায়হান, টাঙ্গাইল মধুপুরের অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, হাবিবুর রহমান, নেত্রকোণার আলপনা বেগম, সাতক্ষীরার কল্যাণ ব্যানার্জি স্বনামে, স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। তারা কেউ আমাদের স্বজন নন, সবাই বড় বড় মিডিয়ার কর্মি নন। শুধু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তারা সারাদেশের পরিচিতজন হয়ে আছেন। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত কম লেখনির সাংবাদিকগণই বড় বড় মিডিয়া হাউজের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেকে সমহারে মূল্যবান ভাবতে চায়, ভাবাতে চায়। অন্যদিকে ছোট মিডিয়া হাউজগুলোর সাংবাদিককে বাস্তবেই নিজের যোগ্যতায় জায়গা করে নিতে হয়। অতএব, আপনার লেখনি, সত্য প্রকাশের সাহসী কৌশল, বস্তুনিষ্ঠতাতেই ছড়িয়ে পড়ুক ইতিবাচক পরিচিতি, গড়ে উঠুক পাঠকের আস্থাশীলতা। সেখানেই আপনার সাংবাদিকতার যাবতীয় স্বার্থকতা।

মুন্ডুমালায় এইচ এস সি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করলেন পুলিশ

তানোর প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চোলায়মদ উদ্ধারের স্বাক্ষী হতে অপরগতা প্রকাশ করায় এক এইচ এসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা বিনা দোষে ছেলে মারধরের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে এসআই রবিউলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই পরীক্ষার্থীর নাম মেহেদি হাসান (১৭) তিনি পৌর এলাকার মাহালিপাড়া মহল্লার জিয়াউর রহমানের পুত্র। তিনি চলতি বছর মুন্ডুমালা ফজর আলী মোল্লা ডিগ্রি কলেজ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবেন।লিখিত অভিযোগ ও মেহেদির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সাড়ে তিনটার সময় নিজ বাড়ি হতে রাস্তা দিয়ে হেটে মুন্ডুমালা বাজারে আসছিলেন মেহেদি হাসান (১৭)। এমন সময় মাহালিপাড়া নামক স্থানে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রবিউল ইসলাম ও এএসআই সুলতান এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদি হাসানের পথ আটকিয়ে তাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। তিনি সাদা কাগজে কেন স্বাকর করবেন তা জানতে চান। এ সময় এসআই রবিউল বলেন, এখানে চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়েছে। তোকে স্বাক্ষী হতে হবে। এমন সময় মেহেদি বলেন, তিনি একজন ছাত্র তা ছাড়া তিনি কোন মদ উদ্ধার করতেও দেখেনি তাই তিনি স্বাক্ষী হতে অপরগতা প্রকাশ করেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই রবিউল তার কলার ধরে প্রথমে গালে দুই তিনটা থাপ্পর লাগান। এতে ক্ষান্ত না হয়ে এসআই পাশে দোকানের কাছে পড়ে থাকা একটি মোটা পাইপ এনে তাকে বেদম পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী রোজা অবস্থায় থাকায় তিনি সেখানে গ্যান শূন্য হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার পরিবারের সদস্যগণ তাকে উদ্ধার করে মুন্ডুমালা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সোমবার দুপুরে এসআই রবিউলসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য মাহালিপাড়ায় অভিযান চালাই। এ অভিযানে এক আদিবাসি বৃদ্ধ মহিলার ঘর হতে কয়েক লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অন্য একবাড়িতে অভিযান চালাই, সেখানে কোন মদ উদ্ধার করতে পারেনি। তবুও সে বাড়ির অন্য মহিলাকে আটক করে চালান দেয়ার ভয় দেখায় এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করেন এসআই রবিউল। বিষয়গুলো নিজচোখে দেখেছেন স্থানীয়রা। তাই মিথ্যে স্বাক্ষী হতে চাইনা কেউ।মেহেদির পিতা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার ছেলে একজন শিক্ষার্থী। তাকে বিনা দোষে এসআই রবিউল যেভাবে পিটিয়ে জখম করেছে তা এভাবে গরুকে মারে না কেউ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল হয়ে দাগ পরে গেছে। আমি ঘটনার পর তার ছেলের চিকিৎসা সেরে স্থানীয় গণ্যমান্য ও পৌরসভার মেয়রকে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান দেখায়েছি। এছাড়াও মঙ্গলবার বিকেলে ছেলেকে মারধরের প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।এবিষয়ে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী মেহেদি হাসানকে অন্যায় ভাবে পিটিয়েছে এসআই রবিউল শুধু তাই নয়। পৌর এলাকাসহ আশপাশে এমন আরো ঘটনা রয়েছে এসআই রবিউল এর বিরুদ্ধে। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে খারাচ আচরণ করেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেওয়াসহ এমন অনেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় অনেকটা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করেন।এসব বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, মেহেদি হাসানকে প্রথমে ভালভাবে বোঝানো হয়েছে। সে চোলাইমদ উদ্ধার করতে দেখে কিন্তু কেন স্বাক্ষী দিবে না। তাই বড় ভাই হিসাবে শাসন করে দুইটি থাপ্পর মেরেছি মাত্র।এবিষয়ে জানতে মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় তানোর থানা অফিসাস ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়ার মোবাইলে একাধিবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি।

তানোরে গ্রেফতার আতংকে তালিকার রাজাকার

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোরে চিহ্নিত রাজাকারদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার চিহ্নিত রাজাকারদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করে আসছে। সুত্র জানায়, চিহ্নিত যুদ্ধপরাধীদের  গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তালিকা প্রণয়ন শুরু করা হয়েছে। আর এই জন্য নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে একাধিক সংস্থা। এ খবর প্রচারের পর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে পরম স্বস্তি ও রাজাকারদের মাঝে চরম অস্বত্বি বিরাজ করছে। এদিকে এসব রাজাকারেরা বিএনপি ও জামায়াত মতাদর্শী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার এবারের তালিকায় সমাজের প্রভাবশালী রাজাকার যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের উপর অকথ্য নির্যাতন, অসংখ্য মানুষকে জিম্মি করে তাদের সহায়-সম্পদ লুটপাট করে রাতারাতি অগাধ ধনসম্পত্তির মালিক হয়েছে। সাধারণ মানুষের পৈতৃক ভিটেবাড়ি দখল ও নারীর সম্ভ্রমহানিসহ নানা অপরাধ করেছে তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে। এসব রাজাকারের কারণে তানোরে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার অনেকে ছেড়েছে পৈতৃক ভিটেমাটি। দেশ স্বাধীনের পর এসব মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশে ফিরে আসলেও ফিরে পায়নি তাদের রেখে যাওয়া ধন-সম্পদ ও পৈতৃক ভিটেমাটি সেগুলো রাজাকারেরা দখল করে নিয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও সরকারের সদইচ্ছার অভাবে এতদিন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মহাজোট  তথা আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এসব যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীতে নামে বে-নামে প্রচুর দরখাস্ত জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে। জানা গেছে, অনেক রাজাকার দেশ স্বাধীনের পর তাদের খোলস পাল্টিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদান করে রাতারাতি ওই সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হয়ে গেছেন। অভিযুক্ত এসব রাজাকারদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী মহলের। যে কারণে তাদের দাপট এতই বেশী তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগ  সরকার ক্ষমতায় আশার পর এলাকার আপামর জনসাধারণ রাজাকারদের বিচারের দাবীতে ক্রমেই সোচ্চার হয়ে উঠে। এসব রাজাকারদের অন্যতম তানোর পৌর সদরের প্রসিদ্ধ এক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি খেজুর গাছের রস বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেন। এখানো তার পরিবারের অন্য সদস্যরা দিনমজুর। কিন্ত্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে তার প্রতিবেশীরা জানান। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব যুদ্ধপরাধীদের বিচারে এগিয়ে আশার দাবি জানিয়ে আসছে। এসব রাজাকারগণ নিরাপদ থাকতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চাঙ্গা রাখতে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সহায়তা আসছে। তাদের উদ্দেশ্যে  আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যেনো রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসতে না পারে। এলাকার আপামর জনসাধারণ যুদ্ধপরাধীদের অতীত কর্মকান্ডের অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মামির সঙ্গে প্রেমের অপরাধে ভাগনের হাতের কবজি কর্তন

আলেক উদ্দীন দেওয়ান,চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মামির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত রুবেল চাকপাড়া গ্রামের মৃত মতিবুর রহমানের ছেলে।
আহত রুবেলের ছোট ভাই লিটন হোসেন জানান, ধোবড়া এলাকার এমেলি খাতুন নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে রুবেল হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এটি মেনে নিতে পারেনি এমেলির পরিবার। এমেলি সম্পর্কে রুবেলের মামি হন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে রুবেল ট্রলিভর্তি গম নিয়ে সোনামসজিদ থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় এমেলির পরিবারের লোকজন গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে ঘোড়াদহ বিলে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ও ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে বলেও জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এইচ এম মাসুম শিমুল জানান, ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই যুবককে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরিভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান, পরকীয়ার কারণেই এমেলির আত্মীয়-স্বজনরা রুবেলের হাত কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

মোহনপুরে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ডাচ বাংলার এজেন্ট

মোহনপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি বাজারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মেসার্স সরকার ফার্মেসী গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকার দাবিতে শাখাটির সামনে অবস্থান করেন এবং এক পর্যায়ে শাখাটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন।

মেসার্স সরকার ফার্মেসীর মালিক উপজেলার বাটুপাড়া গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে আরজেদ সরকার ও তার শ্যালক শাহিন বর্তমানে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, টাকা জমা দেয়ার রসিদ, কারেন্ট বিল পরিশোধের রসিদ দিলেও সেই অর্থ জমা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আর সেই টাকা জমা নিলেও তা একাউন্টে জমা করেননি এজেন্ট মালিক।
জানা গেছে, নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের মুজাহার আলী গত ১৬ মার্চ কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলন করে মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু পরদিন সেই টাকা উত্তলন করতে গেলে তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা নেই।
হরিফলা গ্রামের মোস্তফা টাকা জমা রাখেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার। উত্তলন করেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে বাকি ৯০ হাজার টাকা উত্তলন করতে গেলে তার একাউন্টে মাত্র ১০ হাজার টাকা পান।
বাকি টাকা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকা শাখার মালিক। কালিগ্রামের মেহের আলী ৮ লক্ষ টাকা একাউন্টে জমা রাখেন। কিন্তু সেই টাকা জমার রসিদ দিলেও একাউন্টে জমা হয় মাত্র ৫৬ টাকা।
আরও জানা গেছে, বাটুপাড়া গ্রামের শিউলি বেগম জমা রাখেন ৯০ হাজার। উত্তলন করেন মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ৫৫ হাজার টাকা তুলতে গেলে একাউন্টে মাত্র ৫ হাজার টাকা আছে বলে জানতে পারেন। একারণে তার সংসার ভাংঙার উপক্রম।
তিনি আর টাকা ফেরত পাননি। মৌগাছি গ্রামের রেজিয়া বিবি ৫৬ হাজার টাকা জমা রেখে ৫ হাজার টাকা উত্তলন করেন। বাকি ৫১ হাজার তিনি আর তুলতে পারেননি। বাটুপাড়া গ্রামের যাদু বেগম ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জমা করেন কিন্তু তার একাউন্টে কোন টাকাই জমা হয়নি।
হরিহরপাড়ার মিনারুল জমা রাখেন ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা কিন্তু কয়দিন পর উত্তলন করতে গেলে জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা হয়নি। নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের অনেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তার টাকা জমাই হয়নি। বিল বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দেয়া হয়।
মোহনপুর থানার ওসি সেলিম বাদশাহ বলেন, মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় প্রতারিত গ্রাহকদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাখাটি তালাবদ্ধ পায়।
তবে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তানোরে পিতা গুমের ৪১ বছর পর ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন পৌর কাউন্সিলর!

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে এক পিতা গুম হবার ৪১ বছর পর চারজন আপন বড়ভাইয়ের বিরুদ্ধে সবশেষ ছোটভাই তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনজুর রহমান (৫০) বাদি হয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। চলতি ২০২৩ সালের (২২ মার্চ) বুধবার এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর বাড়ি অত্র ওয়ার্ডের জিওল মহল্লায়।অভিযুক্ত ভাইয়েরা হলেন- একই মহল্লার বাসিন্দা মোজাহার আলী (৫২), আনসার আলী (৫৫), ইনছান আলী চৈত্যা (৫৬) ও মুনতাজ আলী (৫৪)। সকলের পিতা মেহেরুল্লা ওরফে মেহুর মন্ডল।অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৮১ সালের ৩ জুলাই রাত ১০ ঘটিকার সময় পিতা মেহেরুল্লা ওরফে মেহুর মন্ডলের সঙ্গে কাউন্সিলর মুনজুর রহমান তাদের শয়ন কক্ষে শুয়ে ছিলেন। ওই সময় কাউন্সিলর মুনজুর রহমানের বয়স ছিল প্রায় ১০ বছর। এঅবস্থায় তাদের বাড়ির কাজের লোক ভাতরন্ড মহল্লার বাসিন্দা মৃত দাউদ আলীর পুত্র কেতাব আলী বলে মহিষের ক্ষুরারোগ হয়েছে। কেতাবের এমন কথায় বাড়ির দরজা খুলে পিতা মেহুর ও পুত্র মুনজুর রহমান মহিষের গোয়াল ঘরে যান। সেখানে ওঁতপেতে থাকা ৮/১০ জন পরিচিত ব্যক্তির মধ্যে সহোদর উপরোক্ত ৪ ভাই মিলে পিতা মেহুরকে মারধর অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়।এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিরা জানান, বেশ কয়েকজন মিলে মেহুরকে গোয়ালঘরে ধরে রাতভর নির্যাতন করে। নির্যাতনে মারা গেলে ভোরে বাড়ির পার্শ্বে গোবরসার পালায় তার লাশ পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনার পর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। দুয়েকদিন গেলে সেখানে মানুষ পঁচা গন্ধ বের হয়। তখন কোন একরাতে লাশ সেখান থেকে তুলে বস্তায় ভরে নৌকায় নিয়ে বিলকুমারী বিল (বর্তমান শিবদনী)’র বহলা নামক স্থানে ফেলে দেয়া হয়। এমনই লোমহর্ষক ঘটনা জানান প্রতিবেশিরা।কাউন্সিলর মুনজুর রহমান অভিযোগে বলেন, গোয়ালঘরে তার পিতাকে মারধর অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করেন তিনি। এসময় তারা হুমকি দিয়ে বলে ‘মুখ বন্ধ রাখ, নতুবা তোকেও মেরে ফেলে পুঁতে দেব’। তাদের এমন হুমকির ভয়ে ভীতস্থ হন। এহেন সময় পূর্ব পরিচিতি জিওল মহল্লার বাসিন্দা আজাহার শাহ্’র পুত্র তসলিম শাহ্ অনুন্নয় বিনয় করে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর তার পিতাকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়।কাউন্সিলর আরও জানান, তিনি প্রাণের ভয়ে এযাবৎ পর্যন্ত পিতা গুম হবার ব্যাপারে কাউকে বলেননি। কিন্তু বর্তমানে তার পিতার বিপুল পরিমান সম্পত্তি বিভাগ বন্টনের জন্য ভাইদের বলা হলে পিতার ন্যায় পরিণতি হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এতে নিরুপাই হয়ে জীবনের নিরাপত্তা ও গুম হওয়া পিতাকে উদ্ধার ছাড়াও তাদের সম্পত্তি সুষম বন্টনের জন্য তিনি পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত ইনছান আলী চৈত্যা বলেন, পিতা গুম হবার ব্যাপারে সেই সময়ে ভাই মোজাহার আলী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছিলো। ওই মামলা খারিজ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে তার কাউন্সিলর ভাইয়ের অভিযোগ ব্যাপারে শুনেছেন, দেখা যাক কি হয় বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।এবিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবি এম মাসুদ হোসেন বলেছেন, দৈনিক অসংখ্য অভিযোগ আসে। কিন্তু এহেন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। যদি এমন অভিযোগ হয়ে থাকে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি।