নিউজ ডেস্কঃ সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
জরিপের বরাত দিয়ে জাতীয় সংসদকে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম বাঘ গণনা করা হয়। ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাঘ গণনা করে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায় এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।
‘এ ছাড়া সমগ্র সুন্দরবনে এক লাখ থেকে দেড় লাখ হরিণ, ১৬৫ থেকে ২০০টি কুমির এবং ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বানর রয়েছে।’
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে সরকার ২০১২ সালে বন অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে সুন্দরবন থেকে দুষ্কৃতকারী, জলদস্যু বিতাড়ন করে।
‘বাঘ রক্ষায় বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৯-২০২৭) প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী অপরাধ বন্ধে বনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে এসএমএআরটি (স্মার্ট) টহল ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। উক্ত বিশেষ টহল ব্যবস্থায় দ্রুতগামী জলযান ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়।’
মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের চারটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পরিমাণ আগের ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫২ শতাংশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বন্যপ্রাণী প্রজনন মৌসুম জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাসে সুন্দরবনে সব ধরনের পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়াল, মৌয়ালদের বাঘ, হরিণ ও কুমির নিধন বন্ধে নিয়মিত সচেতনতামূলক সভা ও উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী পাচার রোধে দুবলার চরে রাসমেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনের রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে চারটি রেঞ্জে চারটিসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি, প্রতিটি গ্রামে পিপলস ফোরাম, ভিলেজ কনজারভেশন ফোরাম, কমিউনিটি পেট্রোল গ্রুপ কার্যকর রয়েছে।
‘এ ছাড়াও সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করাসহ সুন্দরবনে বাঘ ও কুমিরের আক্রমণে নিহত বা আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’