সারোয়ার হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোর পৌরসভার রাস্তা নির্মাণের একমাসের মধ্যেই রাস্তায় দেখা দিয়েছে পাটল, সেই সাথে উঠতে শুরু করেছে পিচ। পৌর এলাকার গোকুল তালন্দ কলেজের মাঝে নাপিত পাড়ার এঘটনা ঘটেছে। এতে করে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

জানা গেছে, পৌরসভার নির্বাচনের আগে মেয়র মিজানের সময়ের প্রকল্পের রাস্তা ডাবলু বিএম ও প্রাইম বোর্ড করে রাখেন ঠিকাদার। এরপর আর কাজ করেননি। দীর্ঘদিন পর ঠিকাদার হাসনাথ জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে শুরু করেন পিচ ঢালায়ের কাজ। কিন্তু এতই নিম্মমানের পিচ ঢালায় দেন যে এক মাসের মধ্যেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠা ও ফাটল দেখা দিয়েছে।
ওই গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা বলেন রাস্তা তো দু এক মাসের জন্য করেছে। তা না হলে এক মাসের মধ্যে কখনো রাস্তায় ফাটল ও অনেক জায়গায় পিচ উঠে ধুলা বালি দেখা যায়। সবাই কারসাজি করে রাস্তাটি একেবারেই নিম্মমানের পিচ দেওয়ার কারনেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,মেয়র মিজানে সময় এক প্যাকেজে প্রায় ৪ কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণের কাজ কারসাজি করে রাজশাহী শহরের ঠিকাদার হাসনাথ কে দেওয়া হয় ।প্রথমেই তিনি তালন্দ বাজার থেকে গোকুল দরগা পর্যন্ত ২২ শো মিটার রাস্তায় পিচ ঢালায় দেন। পিচ দেওয়ার একদিনের মাথায় উঠতে শুরু করে। এবার মাস না যেতেই বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ হয়ে পড়েছে। রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
ঠিকাদার হাসনাথের ব্যক্তিগত ০১৭২৪৩৩৮৮৫১ মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি বলে প্রাইভেট কারে চড়ে পৌরসভা ত্যাগ করেন।
মেয়র ইমরুল হক কে রাস্তার ব্যাপারে বলা হলে তিনি জানান ঠিকাদারকে পুরো বিল দেওয়া হয়নি। যেখানে পিচ উঠেছে ওই জায়গার মাটি ভালো না। তবে ঠিকাদারকে মেরামত করতে বলা হবে বলে দায় সারেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে