নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পবা উপজেলার মধুসুদনপুর গ্রামে। এই নিয়ে পবা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে ধর্ষিতাকে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। থানায় মামলা না নেয়ার প্রতিবাদে সোমবার রাতে ভূক্তভোগি নিজেই তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে পাড়ার দোকানে মশার কয়েল কেনার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একই গ্রামের রাজ্জাকের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তার ছেলে আসাদুজ্জামান রাব্বি তাকে রাতের অন্ধকারে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোরপূর্বক চেপে ধরে। এ অবস্থায় চিৎকার করতে গেলে রাব্বি তার নিকট থাকা গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে দেয় এবং বাড়ির পিছন অন্ধকারে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এমতাবস্থায় তাঁর ফুফাতো ভাসুর মজিবুর রহমান বাড়ির পিছনে প্রসাব করতে যেয়ে ঘটনা দেখতে পেয়ে তার স্বামী শাহাদতকে ডেকে নিয়ে আসলে উভয়ে মধ্যে চিৎকার ও চেচামেচি হয়। এক পর্যায়ে রাব্বির ছোট চাচা কাউসার এসে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাব্বিকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। সেইসাথে এ বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি না করার হুমকী দিচ্ছেন।
রাব্বিদের বাড়িতে কাজ করেন বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তার স্বামী কোন কিছু না বুঝেই আমাকে বাড়িতে ঠাই না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পরে লোকমুখে জানতে পারেন তাকে তালাক দিয়েছেন। এরপর আমি আমার এক খালার বাড়িতে এখন আছেন।
তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজনদের সাথে পবা থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। সেইসাথে এদিন না ওদিন করে কালক্ষেপন করেন। শেষ মুহুর্তেও থানা মামলা নেন নি।
থানার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। এখন ধর্ষণকারী আসাদুজ্জামান রাব্বি ও তার ছোট চাচা কাউসার, বাবা রাজ্জাক মিলে এ বিষয়ে কোন কিছু না করার জন্য বলছে এবং প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে। তিনি এর প্রতিকার ও প্রচলিত আইনে বিচার প্রার্থনা করেন।