নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে হিন্দু কলেজছাত্রীকে উত্তক্ত্যের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার বাবা মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে এখনো ঘুরছেন থানায় মামলা করার আশায়। কিন্তু গত ৬ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের এ ঘটনায় বখাটেদের বিরুদ্ধে হামলার শিকার নিল মাধব শাহা থানায় থানায় ঘুরছেন। কিন্তু নগরীর চন্দ্রিমা থানা, মতিহার থানা বা রাজশাহী রেলওয়ের জিআরপি থানা কেউই মামলাটি নেয়নি। বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নিল মাধব শাহা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
নিল মাধব শাহার বাড়ি রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকায়। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কলেজে যাতায়াতের সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাববসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এরফান খান মেরাজ (২২), সামদের ছেলে রুহুল আমিন সরকার প্রিন্স, আক্তারের ছেলে রবিন। এ নিয়ে গত ১২ আগস্ট সকালে প্রতিবাদ করেন নিল মাধব শাহা। এর পর ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার ওই বখাটেরা তাদের আরও চার-পাঁচজন সহযোগী নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে নিল মাধব শাহার পার্লারে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাঁকে ছুরিকাঘাত ও হাতুদি দিয়ে পেটাতে থাকে বখাটেরা। তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেল সোনা মিঞার স্ত্রী বন্ধনা রানী শাহাকেও মারপিট করা হয়।
পরে মাথায় ছুরিকাহত নিল মাধব শাহাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ১২টি সেলায় রয়েছে এখনো। তবে ওই ঘটনার পরে নিল মাধব শাহা নগরীর মতিহার, চন্দ্রিমা ও রাজশাহী জিআরপি থানায় ঘুরছেন মামলার আশায়। কিন্তু পুলিশ মামলা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিল মাধব শাহা বলেন, হামলাকারীরা নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকা দাঁপিয়ে বেড়ায়। এ কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। আমরা হিন্দু মানুষ হওয়াই হয়তো আমাদের পক্ষে থাকছে না পুলিশ।
তবে নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।