রাজশাহী প্রতিনিধি: সারাদেশের মতই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি ভর্তি আছেন ৩৫ জন। যার মধ্যে ১৯ জনই পাবনার রুপপুরে অবস্থিত পারমানবিক বিদ্যুতে কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিক। বাকিদের মধ্যে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকায়।
হাসপতালে চিকিৎসারত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করায় সেখানে পানি ও ময়লা আর্বজনা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
সেখানে মালামাল রাখার জন্য রয়েছে বড় বড় ঘর । সেসব ঘর গুলো অন্ধকারচ্ছন্ন। বিভিন্ন মালা পত্রের ফাঁকে ফাঁকে থাকে অসংখ্যা মশা। নিজেরা কাজ করতে গেলে সেই মশার কামড় খেয়েই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়।। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে গিয়ে মশা জন্মগ্রহণ করে সেইসব মশার কামড়েই তারা আক্রান্ত হচ্ছে। কাজের মধ্যে মাত্র ২ ঘন্টা বিরতি থাকলেও মশার কামড় খেয়েই সময় পার করতে হয়। তাদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে এসব নিরসনের জন্য বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ হিসেবে শ্রমিকরা বলেন, প্রথমে হালকা জ্বর থেকে তীব্র জ্বর হচ্ছে। সেই সাথে গায়ে ঝাঁকুনি দিচ্ছে । এতে শরীরে দূর্বল হয়ে পড়ছে। খাওয়া দাওয়ার প্রতি কোন রুচি থাকছে না। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার এখন কিছুটা স্স্থু আছেন বলেও জানান তারা।
রামেক হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা: মুক্তাদিরুল ইসলাম সিফাত বলেন, হাসপাতালে গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কিন্তু রোগী বাড়লেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ওষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এজন্য রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৪৭ জন। এর মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২১১ জন এবং মারা গেছেন ১ জন। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধে গত বুধবার থেকে নগরীতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
স/আ বা