কামরুল ইসলাম: রাজশাহীতে শীত নামতে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রাও। মধ্য রাত থেকে কুয়াশা পরতে শুরু করেছে। দিন শেষে সন্ধ্যা নামতেই কমছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই একটু একটু করে শীত অনুভূত হচ্ছে।
ফলে আজ সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে রাজশাহীতে। অনেকটা দেরিতে হলেও নামতে শুরু করেছে শীত। সাধারণ মানুষের শরীরেও উঠেছে শীতের পোশাক। এরই মধ্যে ঠাণ্ডায় গুঁটিশুটি হয়ে পড়েছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেশির ভাগই নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট, সাহেব বাজার, রেল স্টেশন, অলোকার মোড়, লক্ষীপুর ও বিনোদপুর বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। শিশু, নারী, পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে এই দোকান গুলোতে। এছাড়া ভ্যানে করে কাপড়ের দেখা মিলছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়।
নওদাপাড়া থেকে পরিবার নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন আতিকুর রহমান শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। বিকেল থেকেই হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। তিনি বলেন, বড় মার্কেটের দোকানে শীতের কাপড়ের দাম তুলনামূলক বেশি। যে কাপড় এখানে ২০০ টাকায় কিনেছি, সেই কাপড় মার্কেটে নিতে গেলে লাগতো প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা। তাই কম দামে কাপড় পাওয়া যায় বলে এখান থেকে কাপড় কেনা।
আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ক্রেতারা যেমন আসছেন তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষেরাও অল্প দামে শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকান গুলোতে ভিড় করছেন। শীতের চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, পসরা সাজিয়ে বসেছেন শুধুই শিশুদের শীতের কাপড়।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদী পূর্বভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক তাপমাত্রা হতে পারে। তাই এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
স/কাম