নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির মুলতবী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভাপতির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। আয়ের নতুন খাত সৃষ্টি ও ব্যয় সংকোচন করে এটিকে অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্মিত মার্কেটসমূহের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি এ সকল মার্কেটসমূহ থেকে নিয়মিত আয় পাওয়া যাবে। যা দিয়ে আগামীতে মহানগরীর উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। বেতনভাতা প্রদানসহ অন্যান্য সকল ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হবার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিজ নিজ অবস্থানে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ভালো কাজের জন্য রয়েছে পুরস্কার। প্রতিটি বিভাগের বাৎসরিক পারফরমেন্স রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কৃত করা হবে। রাসিকের উদ্যোগে নগরীতে খেলার মাঠ, গোরস্থান, ঈদগাহ নির্মাণ করা হবে।
সভায় গত ২৭.১২.২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তসমূহ পাঠ ও দৃঢ়করণ করা হয়। জুলাই-২০২১ হতে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রকৃত আয় ও ব্যয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। হোল্ডিং কর, দোকানভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স, চার্জার রিক্সা এবং অটোরিক্সার লাইসেন্সের হাল ও বকেয়ার উপর সারচার্জ মওকুফের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নামজারির ফিস নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গোরস্থান, খেলার মাঠ স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উদ্যোগী সংস্থার মাধ্যমে নির্মিত সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রধীন মার্কেটসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় কর্পোরেশনের সকল বিভাগ/শাখার অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম চালুকরণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির সদস্য ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, গবেষণা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমেদ আল মঈন পরাগ, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (লাইসেন্স) সারোয়ার হোসেন, উপসচিব তৈমুর হোসেন, সম্পত্তি কর্মকর্তা আবু নুর মতিউর রহমান, ভান্ডার কর্মকর্তা আহসান হাবীব খোকনসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।