কামরুল ইসলাম: রাজশাহীর আলুচাষিরা ক্ষেতের পরিচর্চা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অঞ্চলে অর্থকরি ফসলের অন্যতম হচ্ছে আলুর আবাদ। রাজশাহীতে আবহাওয়াও অনুকূলে থাকায় অধিক লাভের আশায় আলুর আবাদে নেমে পড়েছেন রাজশাহীর কৃষকেরা। হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার,সার প্রয়োগ প্রস্তুতকৃত জমিতে আলু রোপণের ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর কৃষকেরা ।

রাজশাহীর তানোর থানায় গিয়ে দেখা যায় পুরোদমে চলছে আলু আবাদের প্রস্তুতি জাতের বীজ আলু কেটে প্রস্তুত করার পর রোপণ করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বীজ তার মধ্যে ডায়মন্ড, গ্রানুলা, স্টারিস ও কার্ডিনাল জাতের বীজ আলু কেটে লাগানোর প্রস্তুত নিচ্ছেন কৃষকেরা।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় কার্ডিনাল, ডায়মন্ড ও এ্যাস্টেরিক জাতের আলু বেশি চাষ হয়। গত রবি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিলো ২৬ টন।

তানোর উপজেলার আলু চাষি রবিউল ইসলাম তিনি বলেন, এ বছর ৮ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। তিনি বলেন শ্রমিকের সংকট দেখা না গেলেও বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া সার ও বীজের দাম রয়েছে লাগাম ছাড়া। আলু চাষের কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ভালো দামের আশায় প্রায় সবাই আলু চাষ করায় ভরা মৌসুমে দাম কমতে পারে। তবে এ বছর আলুর ভালো ফলন হবে।

একই উপজেলার কাশিম বাজার আলু চাষি মো: জালাল বলেন, চলতি মৌসুমে ভালো দামের আশায় অনেকেই আলু চাষে নেমেছেন। ফলে এবার তুলনামূলক কম জমিতে আলু চাষ করছি। মোট ১১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করবো। গত কয়েক দিন ধরে এ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। আগামীকাল ৫ বিঘা জমিতে আলু লাগালে মোট ১১ বিঘা জমিতে আলু চাষ করা হবে। আলুর বীজ সংকটে পড়েছি। এই বীজ সংকটের পেছনে এক ধরণের সিন্ডিকেট চক্রের হাত রয়েছে বলে ধারণা করছেন মো:জালাল ।

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকতা ডিএফএম এমদাদুল ইসলাম বলেন এ বছর আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষক আর নির্ধারিত সময়ে আলু চাষের জন্য পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে ।
স/কা

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *