নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীতে শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তর।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এমপি। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার। শিশুশ্রম রোধে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। উন্নত জাতি গঠনে শিশুশ্রম নিরসনের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের একার পক্ষে দেশে শিশুশ্রম নিরোধ করা অনেক কঠিন। সকলে মিলে কাজ করলে শিশুশ্রম নিরসন করা সম্ভব। জাতীয় শিশুশ্রম নিরসননীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নীতি যথাযথ প্রয়োগ করলে শিশুশ্রম কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।শিশুশ্রম বন্ধে সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও ২০৪১ সালের মধ্যে সরকারের যে ভিশন তা লক্ষে পৌঁছাতে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাইনা কোন শিশু শ্রমে নিয়োজিত থাকুক। শিশুদের ভালোভাবে গড়ে ওঠার পরিবেশ সুযোগ করে দিতে হবে আমাদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুশ্রম নিরসনের দিক নিদের্শ দিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসন করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড: দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ তরিকুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ আব্দুর রহিম খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, বিপিএম (বার), রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চীফ ফিল্ড অফিস (সি এফ ও), রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এ এইচ তৌফিক আহমেদ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট রাজশাহীর আব্দুল কাইউম। প্রত্যাহারকৃত শিশুদের কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি উপস্থাপন করেন চাইল্ড প্রোটেকশান অফিসার ফাতেমা খায়রুন্নাহার।
মুক্ত আলোচনা করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ড: দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসননীতি ২০১০ অনুসারে নয়টি প্রধান কৌশলগত ক্ষেত্র চিহিৃত করা হয়েছে। এগুলো হলো: নীতি-বাস্তবায়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ, আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ, কর্মসংস্থান ও শ্রমবাজার, শিশুশ্রম প্রতিরোধ এবং শ্রমে নিযুক্ত শিশুদের সুরক্ষা, সমাজ ও পরিবারে পুন:একীভূতকরণ ও গবেষণা ও প্রশিক্ষণ।