

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমির বাবার দায়েরকৃত অপহরন মামলায় বিশিষ্ট আবাসন ব্যাবসায়ী আব্দুর রশিদ কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আরএমপি চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
মাদক গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, প্রশ্ন ফাঁস এবং টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর জাকির হোসেন অমিকে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে।সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের সাবেক শিক্ষার্থী ।
মামলার সূত্রে জানা জায় গত ১৫ জানুয়ারি দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় অমি সিএনজি অটোরিকশা যোগে গ্রামের বাড়ি বাগমারা থেকে নগরীর ছোটবনগ্রাম ব্যাংক টাউন এলাকার বাসায় ফিরছিলেন অমি। বাসায় প্রবেশের সময় ৬-৭ জনের একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে আব্দুর রশিদের বিল সিমলার নির্মাণাধীন এ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরপর আরও ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার মুক্তিপণের দাবিতে অমিকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ আনেন।
অভিযুক্ত আবাসন ব্যাবসায়ী আব্দুর রশিদের পরিবারের দাবি,আবাসন-ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনের সাথে তার সখ্যতা ছিলো ও আছে। জাকির হোসেন অমির সাথে জমি ও প্লট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল এজন্যই তাকে ডেকে আনা হয়েছিল তার বাবাকেও ডাকা হয়েছিল তাকে অপহরণ করা হয়নি বা তার কাছ থেকে কোন টাকাও দাবি করা হয়নি।দেনাপাওনা অস্বীকার করতে স্বাভাবিক বিষয়কে অপহরণের নামে অস্বাভাবিক করেছেন।আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। পরিবারটি আরো বলেন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তিনি সকল রাজনৈতিক দলের সাথেই সমানভাবে চলাফেরা করেন ব্যক্তিগত কোন দলের হয়ে না।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন অমির মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।সেই সাথে ছোটবনগ্রাম এলাকায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, জাকির হোসেন অমির বাবার করা অপহরণ মামলায় আব্দুর রশিদ ও তার গাড়িচালক মীম ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন অমির বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা না থাকায় ভিকটিম হিসেবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।