নিজস্ব প্রতিনিধিঃরাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার চকপলাশী এলাকায় সরকারি খাস পুকুরে রাতের অন্ধকারে লোকজন নিয়ে জোর করে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কামরুল ইসলাম (কামু) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্র, সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কোর্টে পাঠানো প্রতিবেদন ও কোর্টের আদেশ হতে জানা যায়, চলতি মাসের ২৬ তারিখ ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাতের অন্ধকারে কামরুল ইসলাম (কামু) পিতা মৃত, সিরাজ উদ্দিন জোরপূর্বক জেলে দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুঠিয়ার প্রতিবেদনে সরেজমিন দখল সংক্রান্ত তদন্ত বর্ণনায় লেখেন, সরেজমিন তদন্ত কালে দেখা যায় ও জানা যায়, নালিশি জমি বিবাদী অবৈধভাবে পুকুর খনন করে, অবৈধভাবে মাছ চাষ করেন। কিন্তু তার কোনো কাগজপত্র বা দলিলাদি নাই। নালিশি জমি বাংলাদেশ সরকারের খাস সম্পত্তি। উক্ত জমিতে সরকারের স্বত্ত ও স্বার্থ জড়িত রয়েছে। সরকারি সম্পত্তিতে উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। অপরদিকে চলতি মাসের ২৪ ইং তারিখে মির্জা ইমাম উদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজশাহী তিনি কোর্টের মাধ্যমে আদেশ দিয়েছেন। আদেশে বলা হয় সরকারি স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে এ বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এবং আদালতে কনটেস্ট করার জন্য বলা হলো, পাশাপাশি মামলাটি নিষ্পত্তিও করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম (কামু) বলেন, আমি বিগত ১০ বছর যাবত লিজ নিয়ে পুকুর খেয়ে আসছি। যা এলাকাবাসী সবাই জানে। শুধু চলতি মাসের ২৬ তারিখেই নয়, আমি সব সময় মাছ ধরে বিক্রি করছি। আমাকে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ার এসিল্যান্ড কে? এসিল্যান্ডের পুকুর হলে তাকে আসতে বলুন মাছ ধরতে।এসব বিষয়ে জানতে পুঠিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক কে অফিসে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বেপারে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী উক্ত পুকুরে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। বর্তমানে ওই পুকুরে কেউ মাছ ধরতে পারবেনা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যদি পুকুরটিতে মাছ ধরে থাকে তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।