নিজস্ব প্রতিবেদকঃইমারত বিধিমালা (বিল্ডিং কোড) লঙ্ঘনে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) দপ্তরে প্রায় প্রতিদিন’ই অভিযোগ পত্র জমা পড়ছে।নিজের বা অন্যের দখল করা স্বল্প পরিমাণ জমির উপরে নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের কারণে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিবেশীরা অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। প্রভাবশালী ব্যক্তি বিত্তবান হওয়ায় উল্টো মামলার সম্মুখীন হচ্ছে আরডিএ কর্তৃপক্ষ।এতে করে নগরীতে জোরপূর্বক অন্যের জমিতে নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এ নিয়ে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত নতুন বিলসিমলা এলাকার বহরমপুর মৌজায় ৩৩৭ দাগে পৌনে এক কাঠা জমি দখল না দিয়ে দীর্ঘদিন দখলে রেখে কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ০৪ তলা ভবন নির্মাণ করে রেখেছেন নগরীর রাজপাড়া থানাধীন নতুন বিলসিমলা এলাকার মৃত শহিদুর রহমানের ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। তবে অন্যের জায়গায় ইমারত বিধিমালা উপেক্ষা করে সড়ক ঘেঁষে কোন প্রকার জমি না ছেড়ে এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে যা আইন বহির্ভূত।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, নতুন বিলসিমলা এলাকার বহরমপুর মৌজায় ৪৪০৮ খতিয়ানের ৩৩৭ দাগে ৪২৮৬ হোল্ডিং ভুক্ত পোনে এক কাঠা জমির প্রকৃত মালিক মৃত লাইলি বেওয়ার ওয়ারিশ সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন ও তার ভাইবোন, এরই প্রেক্ষিতে নিজ জমিতে নির্মানকৃত বিল্ডিং এর অংশ বিশেষ অপসারণের জন্য গত ২৪ জানুয়ারী সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী দুই পক্ষের শুনানি শেষে কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ২ মাসের মধ্যে বিল্ডিং এর অংশ বিশেষ সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে অভিযুক্তরা আমাদের বাদ দিয়ে আরডিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী লিয়াকত হোসেন বলেন, আমি পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে একাধিকবার আমাদের অংশ রেখে বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুরোধ করি,তাতে কোন লাভ হয়নি। তার দাম্ভিকতা হলো তিনি একজন পুলিশ অফিসার এবং আপন ভাই রবিন আওয়ামী লীগ সমর্থক পূর্বের কমিটিতে সদস্য হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি ও প্রভাবশালী মহল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে এ কাজ করছেন। এমন হুমকি ধামকি তার ছোট ভাই রবিন প্রকাশ্যে দিয়েছেন যা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। নিজে পুলিশ ও ভাই আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে আরডিএ’কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উল্টো আরডিএ’র নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধেয় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বহরমপুর মৌজায়,আর,এস ৩৩৭ দাগে অধিগ্রহণের পর রবিউল ইসলামদের নামে থাকে শুধু ৪ ছটাক জমি অবশিষ্ট থাকে আর ৩৩৭ দাগের মুল মালিকের ওয়ারিশ লিয়াকতদের অবশিষ্ট থাকে পৌনে এক কাঠা। ৩৩৭ দাগে জমির হিসেবে গড়মিলের অভিযোগ থাকলেও প্রভাব খাঁটিয়ে জোরপূর্বক নকশাঁ ছাড়া এই স্থাপনা নির্মাণ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠো ফোনে রবিউল ইসলাম বলেন,আমি ব্যাস্ত আছি আমার ভাই রবিন মমিনদের সাথে কথা বলেন। ছোট ভাই মমিন উদ্দিনের সাথে কথা বলে যানা যায়, আমাদের ৩৩৭ দাগে অধিগ্রহণ পরে ৪ ছটাক জমি ছিলো পরে বাকী ১১ ছটাক পাশের ৩৩৮ দাগের মালিক মৃত আরকাতুন বেওয়ার ওয়ারিশ বাবলুদের কাছে থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে স্থাপনা নির্মাণ করেছি। তবে ক্রয়ের বিষয়ে পূর্নাঙ্গ কোন তথ্য দিতে না পারলেও আরডিএ’র বিষয়ে দাম্ভিকতার সাথে বলতে থাকেন আদালতে মামলা করেছি মামলা দীর্ঘদিন চলবে আমাদের কোন সমস্যা নাই।এ বিষয়ে জানতে, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন,নোটিশ পেয়েছি আদালতে মামলা চললাম আছে আমাদের উকিলের মাধ্যমে আমরা মামলা পরিচলনা করবো মামলার রায় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো। অভিযোগকারীকে বিবাদি না করে শুধু আমাদের বিবাদী করলো তা আমার বোধগম্য নয়।