চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ“সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কোন ধরনের চাঁদাবাজি রাখা যাবে না। বর্তমানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের জন্য সহায়ক। আগে একটা রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ও ছত্রছায়ায় এসব চাঁদাবাজি হয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু তা নেই, তাই তা বন্ধ হবে। এনিয়ে আগামী ৫ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্থানীয় প্রশাসন।” রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পরিবহন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “বন্দর সম্পর্কিত কিছু ভোগ্যপণ্যের যে আমদানি সমস্যা এর সাথে ভোক্তাদের ভোগান্তি, মূল্য বৃদ্ধিতে সমস্যা এসব বিষয়গুলো সরেজমিনে জানতে গতকাল শনিবার সোনামসজিদ স্থল বন্দরে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি, কিছু পন্য আমদানির পরে নষ্ট হয়। আজকে বন্দর ও বিপনন সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে কিছু সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। এর মধ্যে কিছু সমস্যা সরকারকে অবহিত করা দরকার, তা জেনেছি। পাশাপাশি কিছু সমস্যা স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের বাজারে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম, মজুতদারি, অতিমুনাফা সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোগ্যপণ্যে যাতে কোন ধরনের অনিয়ম না থাকে। কারণ ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোনো ধরণের অনিয়মকে ছাড় দেবে না সরকার। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান থাকবে কঠোর।”
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, “আমদানিকৃত পেয়াজ আনার ক্ষেত্রে সহজতর উপায় বের করতে হবে। সড়ক পথে পরিবহনের ভাড়া বেশি হলে এর বিকল্প হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মালবাহি ট্রেনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে। রেলপথ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হবে।”
এ সময় সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাকিব হাসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামান আল ইমরান, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি মো. শাহবুদ্দীন পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।