

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি: বাগাতিপাড়ার এক কলেজ শিক্ষক চতুর্থ বিয়ে করে আবারও ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।বিয়েপাগল নামে পরিচিত হয়েছে আলাউদ্দিন নামের কলেজ শিক্ষক। এই বিয়ে পাগল আলাউদ্দিন পার্শ্ববর্তী বাগাতিপাড়া থানার একটি কলেজের শিক্ষকতা করেন।
তার প্রথম পক্ষের বউ একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকা।তার কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়েসহ ৩ মেয়ে রয়েছে।
আড়ানীর এক মেয়ের বয়সী মেয়েকে মোবাইলে প্রেম করে ৪র্থ বিয়ে করেন ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর বেঁধে।এই চতুর্থ বিয়ে ৩ মাসও টিকালেন না। চতুর্থ বউকে বাহিরে বাসা ভাড়া করে দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করলেও বাসা ভাড়াসহ কোন খরচাপাতি দিতেন না বিয়ে পাগল আলাউদ্দিন। অবশেষে চতুর্থ বউ আদালত ভরনপোষণ ও বাসা ভাড়া প্রদানে বিয়ে পাগল আলাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গত(১৭অক্টোবর) রোজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী কোর্ট প্রাঙ্গনে ২লক্ষ টাকায় মিমাংসা করেন, কলেজ শিক্ষক আলাউদ্দিন।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তেথুলিয়া পিরগাছা গ্রামের মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের ছেলে এই বিয়ে পাগল আলাউদ্দিন। (বাগাতিপাড়ার এক কলেজের শিক্ষক)।
শিক্ষক আলাউদ্দিনে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বিয়ে পাগল আলাউদ্দিনের প্রথম স্ত্রী-সন্তান থাকাকালীন,২য় বিয়ে করেন এক পাইমারি স্কুল শিক্ষিকাকে।এই পক্ষের ৮ বছরের কন্যা রয়েছে বলে তথ্য দাতা নিশ্চিত করেন। ৩য় বিয়ে করেন আড়ানী পৌরসভার এক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়াকে।এই গরীব আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে দেনমোহর না দিয়ে তালাক দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ৪র্থ বিয়ে করে আলোচনায় আসেন কলেজ ছাত্রী আলাউদ্দিনের মেয়ের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে। সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন মেয়েদেরকে ২-৩ টি ফ্লাট বাড়ী ও ব্যাংক ব্যালেন্স এ কোটি টাকার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপনে বিয়ে করেন এবং ২ থেকে ৩ মাস সংসার করে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
শিক্ষক আলাউদ্দিনের কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আলাউদ্দীন স্যার আমাদের কলেজের মেয়েদেরকেউ কূনজরে তাকায়,কিছুদিন আগে নিউজে দেখি আড়ানীর এক কলেজ পড়ুয়া স্যারের মেয়ের বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় জানতে পারছি তিনি এই পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন।এমন অবস্থায় এমন শিক্ষক যদি আমাদের কলেজে থাকে তাহলে কলেজের স্মমানহানি হবে এবং কলেজে শিক্ষার্থীরা তার কাছে নিরাপদ না।তাই আমরা চাই তার বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনানুসারে ব্যাবস্থা নেয়ে হোক।