নিজস্ব প্রতিনিধিঃসনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সাথে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরের আমদানী রফতানী বাণিজ্য আবারো শুরু হয়েছে। এতে বন্ধের কারণে বন্দরে পণ্যজট বাড়লেও নিস্তেজ হয়ে পড়া বন্দরে ফিরেছে কর্ম চাঞ্চল্য। তবে ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রæত তাদের আমদানি পণ্য খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দেশের স্থলপথে ভারতের সাথে যে বাণিজ্য হয় তার ৪০ শতাংশ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রায় ২৫০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ ট্রাকে পণ্য রফতানি হয়। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৬ শত কোটি টাকা রাজস্ব আসে। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার কারণে ভারত-বাংলাদেশ মিলে চলতি মাসের ৯ অক্টোবর বুধবার থেকে ১৪ অক্টোবর সোমবার পর্যন্ত টানা ৬ দিন টানা ছুটির কবলে পড়ে বন্দরটি। আর আজ মঙ্গলবার ছুটি শেষ হওয়ায় সকাল থেকে আবারো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চালক খুরশেদ আলম জানান, পূজার ছুটির কারণে সোনামসজিদ বন্দরে পণ্য নিয়ে ৬ দিন ধরে আটকা পড়ে আছি। আজ বন্দর খোলায় রফতানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবো বলে আশা করছি।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রæপর সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ জানান, ৬ দিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সোনামসজিদ বন্দর ও বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংকের অভ্যন্তরে পণ্যজটসহ যানজট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ছুটি শেষে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আবারো বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এই পণ্যজট কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, দূর্গা পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরের মধ্যে আমদানী রফতানীর সব ধরনের কাজ বন্ধ ছিলো। তবে বন্দরের যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী পূজার ছুটিতে ছিলেন তারা কর্মস্থলে ফিরেছেন। আর তাই দ্রæত যাতে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য খালাস নিতে পারেন সে বিষয়ে সংশিষ্টদের সেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।