পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:রাজশাহীর পুঠিয়ায় দিনে দুপুরে পুলিশের ছদ্মবেশে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল আ.লীগ নেতার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

গতকাল রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার সময় ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আওয়ামী লীগ নেতা সুলতানের বসত বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান সুলতান (৪৩) রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিগত ৪ নং ভালুকগাছি ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রত্যাশী পার্থী ছিলেন। সে ভালুকগাছি কাউন্সিল সংলগ্ন এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক ছেলে।

আ.লীগ নেতা সুলতান অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেল চারটায় তিনি নিজ বাসায় ঘুমিয়েছিলেন। তার স্ত্রী হঠাৎ তাকে ডেকে বলেন বাহিরে অপরিচিত পাঁচজন লোক তাকে ডাকছেন। তাদের গায়ে পুলিশ লেখা জ্যাকেট ছিল। তিনি ঘরের ভিতর থেকে পুলিশ দেখে ভয়ে অন্য দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। তিনি মনে করেছিলেন যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাকে আটক করার জন্য পুলিশ এসেছে। কিছুক্ষণ পরে বাসায় ফিরে তার স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন আগত ব্যক্তিগণ তার নিজ ব্যবহারিত হিরো গ্ল্যামার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। যার নম্বর রাজশাহী হ-১৭-২৫৭০। মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাবার সময় আমার স্ত্রীকে তারা বলেন, “আমি নাটোরের রাজা। মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেলাম। আপনার স্বামী এলে বলবেন”। আমি তৎক্ষণাৎ পুঠিয়া থানায় ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আমাকে আটক করার জন্য কোন পুলিশ পাঠানো হয়নি। পরবর্তীতে থানা পুলিশের একটি দল আমার বাড়িতে এলে তাদের কাছে আমি মৌখিক অভিযোগ করি এবং আমার মোটরসাইকেল কি ডাকাতি করে নিয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারি। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ জানিয়েছেন মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আগত ব্যক্তিদের গায়ে পুলিশ লিখা জ্যাকেট ছিল এবং তাদের কাছে অস্ত্র ছিল। তারা যে দুইটি মোটরসাইকেলে এসেছিল সেই মোটরসাইকেলেও পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। তারা মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে দেখেছেন। এলাকাবাসী তাদের বাধা দিলে তারা অস্ত্র উচিয়ে উগ্র আচরণ করেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) জনাব কবীর হোসেন জানান, তিনি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *