জামি রহমান, রাজশাহী : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নং সেক্টরে সশস্ত্র ও সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি বাংলাদেশ বেতারে কর্মসূত্রে রাজশাহীতে বসবাস করতেন। চাকরিরত অবস্থায় ২০০২ সালের ২৯ জুন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তাঁর একমাত্র ছেলে নিপুন মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে অনলাইনে গেজেট ভূক্তির আবেদন করেন, আবেদনের রশিদ নম্বর ১৬০৭১৯৫১২২৮৩৪০ এবং গ্রহন রশিদ নম্বর ১১০২২১৩৩১৭০৭৩০০০৯ ।
কিন্তু আবেদনের পর ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও মেলেনি গেজেট নম্বর। এরপর তাঁর স্ত্রী সাঈদা ইয়াসমিন রুবিনা এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সকল তথ্য সংযুক্ত করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের দুইমাস পর অর্থাৎ মে মাসে “মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তি On Line এ আবেদন না করে থাকলে কিছুই করার নাই” বলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রটি তার স্ত্রীর কাছে ফেরত আসে। এখন এর পর আর কি করলে আমরা গেজেটে তাঁর নাম ওঠাতে পারবো ? সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে এমন প্রশ্ন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি-হারুন- অর-রশীদ’র স্ত্রী ও সন্তান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি-হারুন- অর-রশীদ ৮ নং সেক্টরে সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব:)
এ.টি.এম. আব্দুল ওয়াহাব এমপি’র অধীনে এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন মাগুরা সদর উপজেলা কমান্ডার আলহাজ্ব মো: জহুর-ই-ইলাহি’র অধীনে যুদ্ধ করেছেন, প্রমান হিসেবে দু’জনেরই স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র আছে। এছাড়াও মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহনের স্বীকৃতি স্বরুপ তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী কর্তৃক সনদ পত্র রয়েছে, যার নং-১২৫৩৭। তিনি দেশ স্বাধীন হবার পর তার ব্যবহৃত অস্ত্র মাগুরা মিলিশিয়া ক্যাম্পে জমা দিয়েছিলেন, যার সনদ নং ১২৫৩৭ এবং রেকর্ড নং জে ১৪০৭৭৫.
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি হারুন-অর- রশীদ বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনুষ্ঠান সংগঠক পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী সাইদা ইয়াসমিন রুবিনা বর্তমানে বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর অনিয়মিত উপস্থাপিকা হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি একমাত্র ছেলে নিপুন মাহমুদ’কে নিয়ে রাজশাহী নগরীর পুলিশ লাইন গেটের সামনে কেশবপুরে বসবাস করছেন।