নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-০৪ (বাগমারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সমর্থকদের হামলায় তাহেরপুর পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর (১, ২, ও ৩ নং ওয়ার্ড) গিতা রাণী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাহেরপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সানডাল গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত গিতা রাণীকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সংরক্ষিত এই নারী কাউন্সিলর নৌকার সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদের সমর্থক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে নারী কর্মীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে ওই এলাকায় গণসংযোগে যায় সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী গিতা রাণী। এসময় বাগমারা এলাকার সর্বহারা নেতা নামে পরিচিত আর্ট বাবুর স্ত্রী ও তার ভাবীসহ কয়েকজন মহিলা মিলে নৌকার ওই গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর গিতা রাণীসহ কয়েকজন আহত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম জানা যায়নি। আহত গিতা রাণীকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নৌকা প্রতীক না পেয়ে বাগমারার নির্বাচন বিতর্কিত করতে নানা ষড়যন্ত্র ও সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। প্রতিনিয়ত আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারসহ হামলা মামলায় জড়াচ্ছেন। অশান্ত বাগমারা তৈরি ও নির্বাচন বানচালের পায়তারাসহ নৌকার নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে তাহেরপুরে নারী কাউন্সিলরসহ কয়েকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। ‘সর্বহারা পার্টি’র কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে এনামুল এমন সহিংসতা চালাচ্ছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার ও তাহেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আহসান হাবিবকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি এখনো শুনিনি। তবে বিষয়টি দেখছি এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছি। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।’