মনোয়ার ইমাম, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত:আজ পশ্চিম বাংলার কলকাতার নবান্ন অভিযান এর ডাক দেয় ছাত্র ও যুব এবং জনতা। কারণ কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারের উপর যৌন নিপীড়ন ও হত্যার বিচারের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র ও জনতা।

সেই আন্দোলনের জেরে বিচ্ছিন্ন হাসপাতালে কর্মচারিদের ধর্মঘট চলছে এবং কলকাতার রাজপথে নেমেছে ছাত্র ও যুব সমাজের মানুষ। প্রতিবাদী মানুষ এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রাস্তায় নেমেছে। বামফ্রন্ট ও বিজেপি এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকারী মানুষ এই দলে সামিল হয়েছেন। আজ বিজেপি ও ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের ডাকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচী ছিল।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু নবান্ন অভিযান কর্মসূচী যাতে অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য পশ্চিম বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে আজ নবান্ন থেকে বহু দূরে ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু আজ সকাল থেকে বহু জায়গায় রাস্তা দখল করে নেয় পশ্চিম বাংলার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ বাহিনী। জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করে রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।

আজ সকালে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিজেপি ও ছাত্র ও যুব সমাজের মানুষ নবান্ন অভিযান কর্মসূচী পালন করতে এসে পুলিশের বাঁধা পায়। সেই বাঁধা অতিক্রম করে যখন জনতা এগিয়ে যেতে চাইছিল তখন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করা হয়। কিছু জায়গায় ব্যারিকেড ভেঙ্গে যেতে চাইলে তাদের উপর জল কামান দাগিয়ে জল ছিটিয়ে দেওয়া। কথাও লাঠি চার্জ করা হয়েছে। কথাও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু নবান্ন অভিযান কর্মসূচী পালন পালন করতে গিয়ে প্রবল বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। আজকের এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচীতে যোগদান করেন পশ্চিম বাংলার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাবেক এমপি ও বিজেপি নেতা দীলিপ ঘোষসহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাওড়া উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং কলকাতার বহু এলাকার বিজেপি ও ছাত্র জনতা ভাগ নেয় নবান্ন অভিযান কর্মসূচীতে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *