চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ জুলাই-আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে শহীদ সাটু হল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও চেক প্রদাণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এ সময় আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, একটি বৈষম্যহীন ও দূর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে যে লক্ষ্য নিয়ে অভ্যূত্থান ঘটিয়েছিল সে বিপ্লব তখনই সাফল্যমন্ডিত হবে যখন আমরা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো। আর তাই বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে “যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি” শ্লোগাণ বুকে ধারণ করে জুলাই-আগস্টের মতো আগামীতেও প্রশাসনের সাথে একসাথে থেকে একতাবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা পেতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া প্রশাসনিক পদে কর্মরতদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে একতাবদ্ধ থেকে সকল অপশক্তির অপকৌশল প্রতিহত করতে সকল শ্রেণী পেশার জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করার আহŸান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহŸায়ক আব্দুর রাহিম, আন্দোলনে নিহত তারেক হোসেনের পিতা আসাদুল ইসলাম, আহত ইমাম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকার তারেক হোসেনের পিতা আসাদুল ইসলাম এবং শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে ১ লক্ষ করে মোট ২ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্নস্থানে আহত ১১ জনকে ২০ হাজার করে অর্থ সহায়তার চেক ও উপহার সামগ্রী প্রদাণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। পরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভা ও চেক প্রদাণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, নিহত মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।