নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর মোহনপুরে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবদুল মতিনকে আটক করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাতে রাজশাহী শহর থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মতিন চকবিরহী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ মামলার অন্য অসামীরা এখনো পালাতক আছেন। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চকবিরহী গ্রামের মোড়ে কীটনাশকের দোকান থেকে পান বরজের বিষ কেনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল মতিনের সঙ্গে নিহত মোহাম্মদ আলীর কোন্দল সৃষ্টি হয়। এর জেরে ওই দিন রাত আটটার দিকে মোহাম্মদ আলী চকবিরহী গ্রামের মোড়ে আসা মাত্র রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে আবদুল মতিন ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এসময় মোহাম্মদ আলীর ডাক চিৎকারে ছেলে জুয়েল রানা (৪০) এগিয়ে এলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে বাবা ও ছেলে দুজনই গুরুতর জখম হন। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। পরদিন শুক্রবার ভোরে চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। আর আহত জুয়েল রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এঘটনার একদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। নিহত মোহাম্মদ আলী উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য এবং চকবিরহী গ্রামের উজাল উদ্দিনের ছেলে।

গত শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে নিহত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে মোহনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে