নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ টিপ পরায় কলেজ শিক্ষিকাকে হেনস্তা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। তিনি পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নাজমুলকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার সকালে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘জড়িত পুলিশ সদস্য প্রটেকশন বিভাগে ছিলেন, যারা ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন অভিযোগ করে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন কলেজ শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার। তিনি রাজধানীর তেঁজগাও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক।
অভিযোগে তিনি বলেন, এক পুলিশ সদস্য তাকে টিজ করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করেন সেই পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সদস্যের দেহের গড়ন বলতে পারলেও তার নাম জানাতে পারেননি ওই শিক্ষিকা।
ড. লতা সমাদ্দার অভিযোগে উল্লেখ করেন, শনিবার সকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে রিকশায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের সামনে একজন পুলিশের পোশাক পরা (মোটরবাইক নং ১৩৩৯৭০) ব্যক্তি পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কলেজ শিক্ষিকার কপালের টিপ নিয়ে টিজ করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই ব্যক্তি।
তিনি অভিযোগে আরও বলেন, পেছনে ফিরে গিয়ে তার আচরণের প্রতিবাদ করলে আবারও গালিগালাজ করেন ওই পুলিশ। পরে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শিক্ষিকার গায়ের ওপর চালিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্য। ওই সময় তিনি বাইকের নিচে পড়ে গিয়ে আঘাত পান।
লতা সমাদ্দার তার অভিযোগে ওই পুলিশের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তার মুখে দাঁড়ি আছে, তিনি মোটা এবং অনুমান করতে পেরেছি তিনি মধ্যবয়সী।’
ওই শিক্ষিকা রাস্তার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন।