

সারোয়ার হোসেনঃ রাজশাহীর তানোরের ৬নং কাঁমারগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পর পর দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন প্রামানিক আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ফের বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে তৃণমুল মানুষের আস্থা ও ভরসার স্থান সেটা চেয়ারম্যান মোসলেম তার জনবান্ধব কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন। রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলের কারণে তিনি হয়তো সব মানুষের উপকার করতে পারেননি এটা যেমন সত্য তেমনি তিনি কোনো মানুষের ক্ষতিও করেননি সেটিও সত্য। এসব কারণে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে এখানো চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন প্রামানিক জনজরীপে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত সময়ে যে উন্নয়নের ছোঁয়া এই পরিষদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে স্পর্শ করেনি শত প্রতিকুলতার মাঝেও চেয়ারম্যান মোসলেম তার সময়ে দ্বিগুন উন্নয়ন পৌছে দিয়েছেন গ্রাম গুলোতে।উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এখানো তিনি রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।
জানা গেছে, ইউপির গ্রাম গুলো বিগত সময়ে ছিলো অনুন্নত। রাতে রাস্তার পাশে ছিল না কোনো সড়ক বাতি বর্ষা মৌসুমে কাঁদার মধ্যে দিয়ে পথ চলতে হতো। জনবহুল কোনো স্থানে বিকেলে বসার মতো কোন জায়গা ছিলো না। গ্রাম গুলোতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিলো না কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সন্ধার পর রাস্তার ধারের স্ট্রীট লাইটের আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামের মেঠো পথ গুলো। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহহীনদের বাড়ি প্রদান,ক্ষুদ্র নৃ-ত্বাত্তিক গোষ্ঠি ও আদিবাসি অধ্যুষিত গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট দুর করতে ট্র্যাঙ্কিসহ সাবমার্শিবুল পাম্প স্থাপন। এতে হাত বাড়ালেই সহজেই পাচ্ছেন সুপেয় পানি। এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা এবং চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীনের সদিচ্ছা ও প্রাণপন প্রচেস্টায়। তাঁর সময়ে সিসি ঢালায় ও ইট সোলিং রাস্তা, অসহায় ও দু:স্থদের মাঝে বিতরণ করেছেন বিভিন্ন প্রকার ভাতা কার্ড, হাট- বাজারের উন্নয়ন ও বিভিন্ন এলাকায় পানি নিষ্কাষণের জন্য আধুনিক মানের ড্রেন নির্মাণ করেছেন। এখানো অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন গ্রামকে শহরের সুবিধা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি অনেকটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে এই ইউনিয়নে। তাই আগামীতেও এই ধরনের ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে চান এই ইউনিয়নের সাধারন মানুষেরা। ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক কচুয়া আদিবাসি পাড়ার বাসিন্দা শিবরাম হেমরম ও জেশপ মুর্মু বলেন প্রায় ৩০ বছর যাবত তাদের এই গ্রামের কোন উন্নতি হয়নি। কোন মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যান কখনোও নজর দেয়নি। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যানের কারণে আজ আমরা ঘরে ঘরে সুপয়ে পানি ও ১০ টাকা কেজি দরে চাউল পাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য যুদ্ধ জয়ের মতো আনন্দ। একই গ্রামের রেশমা হেমরম বলেন আগের সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে কোন কাজ নিয়ে গেলে মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা পাত্তাই দিতো না। কিন্তু মোসলেম চেয়ারম্যানের কাছে যে কোন কাজ নিয়ে গেলে সবার আগে তিনি আমাদের কাজগুলো করে দেন। আর বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠির কেউ কোন ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত নয়। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আগামীতেও আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে চাই। মালশিরা পুর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার, বলেন আগে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে চলতে পারতাম না। হাটু কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো। কিন্তু সেই রাস্তা হেরিংবন্ড করে দিয়েছে চেয়ারম্যান। আবার অনেক রাস্তায় সিসি ঢালাই দিয়েছেন। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
রাতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্ট্রীট লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা বর্তমানে অনেকটাই শহরের সুবিধা গ্রামে পেতে শুরু করেছি। ইউপি সদস্য বকুল বলেন সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় পরিষদে যে কোন বরাদ্দ কিংবা কাজ এলে চেয়ারম্যান সব মেম্বারদের নিয়ে প্রথমে তিনি পরামর্শ করেন। এরপর সমন্বয় করে কাজগুলো ভাগ করে দেন। বিগত সময়ে এই ইউনিয়নের আওতায় এই ধরনের কাজ কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই বর্তমান
চেয়ারম্যানের নিদের্শনা ও সহযোগিতায় আমরা মেম্বাররা নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন প্রামানিক বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস্য তায় আমি জনগণের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, এই ইউনিয়নকে তানোর উপজেলার মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই। মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গঠন করতে যা যা করার প্রয়োজন আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে সেটা করতে চাই। উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে আগামি নির্বাচনে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, প্রার্থী যেই হোক ভোট চাই নৌকায়।