চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে আমের গুটি ঝরে পড়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত দুই মাস থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এই জেলার চাষিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, তীব্র খরায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি, বাড়ছে না আকার। আমের জন্য এখন বৃষ্টি প্রয়োজন।
সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের আমচাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর দেরিতে মুকুল এসেছে। আর গত বছরের থেকে মুকুল অনেক কম। আর যে গাছগুলোতে মুকুল এসেছে, অনাবৃষ্টির কারণে তা ঝরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা লোকসানের মুখে পড়ব। দুই মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। এখন বৃষ্টি হলে দ্রুত আমের গুটিগুলো বড় হতো।’
পুকুরিয়া এলাকার সুজা মিঞা বলেন, ‘আমার এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আশ্বিনা আমের বাগান রয়েছে। কিন্তু খুব কম গাছে মুকুল এসেছে। তার পরও প্রায় দুই মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। এভাবে আমের গুটি ঝরে গেলে ফলন কমে যাবে। সব মিলিয়ে খুব চিন্তায় আছি।’
শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত বছরও আমের বাগানে ভালো ফলন হয়েছিল। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কম মুকুল এসেছে। বেশি গাছেই এসেছে নতুন পাতা। আর কিছু গাছে মুকুল এসেছিল, তা-ও অনাবৃষ্টির কারণে গুটিগুলো ঝরে যাচ্ছে। আর আমের আকার বড় হচ্ছে না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের মুকুল অনেক কম এসেছে। এ সময়ে গত বছর প্রায় ৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। আর এ বছর এখন পর্যন্ত ৮২ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। তবে যে পরিমাণ মুকুল এসেছে, কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে এবং ন্যয্য মূল্য না পেলে কৃষকেরা লাভবান হবেন না। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।