
আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃনওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দুটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্ত দল।
আজ বুধবার রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত দল কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, প্রার্থী ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টা থেকে খেলনা ইউনিয়নের ভগবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, দ্বায়িত্বে থাকা আনসার ও পুলিশ সদস্য, অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী, প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টসহ নির্বাচনের দ্বায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য গ্রহণ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
প্রথম দিনের তদন্ত শেষে বিকেল ৪টার দিকে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের তদন্ত দলের প্রধান রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে। আজকে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে।
এ সময় তদন্ত দলের আরেক সদস্য ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রাকিবুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর খেলনা ইউনিয়ন সহ ধামইরহাট উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ভোট শেষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে আলহিল মাহমুদ চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসেন ওই ইউনিয়নের ভগবানপুর ও দেবীপুর কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, মৃত ও বিদেশী অবস্থানকারী ব্যক্তিদের ভোটও পড়েছে। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে ভগবানপুর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ১১টি। যেখানে তালিকায় থাকা মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৬ জন এবং বিদেশে অবস্থানকারী ভোটার রয়েছেন ৮ জন।