নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখা কিংবা নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপনে ব্যাপক সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটে প্রতিবছর।চলে সারা বছরই,তবে রমজান মাস আসায় পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম। তবে এবছর আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।রমজান আসায় ১১ মাসের তুলনায় পর্যটক না থাকায় থ্রি স্টার হোটেল গুলোতে ৪০-৫০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিচ্ছে হোটেল গুলো।এ অফার চলবে ১৫ -২০ রমজান পর্যন্ত।তবুও প্রায় সব হোটেলই ফাঁকা। অলস সময় পার করছে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরা।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর ১১মাস লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে,রমজান মাসেও থাকে পর্যাপ্ত । তবে এবার করোনা মহামারীসহ নানান কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটকের আগমনের হার কিছুটা কম বলে জানান ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়া।
কলাতলী এলাকার হোটেল মালিক মোর্শেদুর রহমান বলেন:করোনা ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে এবার তলানিতে নেমেছে পর্যটকদের হিসাবের তালিকা। কক্সবাজারে প্রতি বছর লাখো পর্যটকের ভিড় জমলেও এবারে আমাদের হোটেল গুলোর ৪০ শতাংশ কক্ষ খালি আছে।
সূর্যাস্ত দেখার জন্য যেসব পর্যটক সৈকতে ভিড় করেছে তাদের অধিকাংশই স্থানীয় ছিল বলে জানান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ব্যবসায়ী সমিতির নেতা কাশেম আলী।
হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন: করোনা মহামারীর কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় আশা করেছিলাম ভিড় জমবে,তবে আশায় বালি পড়েছে।
আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন হোটেল দ্যা কক্স টুডের ম্যানেজার অপারেশন আবু তালেব শাহ।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুই শতাধিক টুরিস্ট পুলিশ বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালন করছে। চার স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি কক্সবাজারে আগত নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক ইশরাত নীল বলেন: আমরা রাজশাহীতে থাকি, কিন্তু সেখান থেকে প্রথম আসলাম, এসে দেখি সবই ফাঁকা,আনন্দ কম কম লাগছে। এত বড় লম্বা বালুকাময় সৈকত আর কোথাও নেই,তাই ঘুরতে এবার পরিবার নিয়ে কক্সবাজারের ছুটে এলাম। ভালো লাগছে।তবে লোকজন কম একটু একটু ভয়ও লাগছে নতুন জায়গা বলে।