চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ‘পা ধরলেও মন গলেনি বিএসএফের। আমাকে ইচ্ছেমতো পেটায় তারা। তাদের নির্যাতনে আমার দুই হাত ভেঙে যায়। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাদের দুই পা ধরে বাঁচার জন্য আকুতি করি। তবু তারা নির্যাতন থামায়নি।’
গতকাল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিংনগর গ্রামে নিজ বাড়িতে কথাগুলো বলছিলেন বিএসএফ সদস্যদের হামলার শিকার এসলাম আলী (৭০)। গত বুধবার দুপুরে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে শিংনগর গ্রামের দশবিঘি এলাকায় ঢুকে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে পেটান। এ সময় তাঁর দুই হাত ভেঙে যায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) থেকে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল তিনি বাড়ি ফেরেন।
ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এসলাম আলী বলেন, ‘দশবিঘি এলাকায় আমি ও আমার ছেলে আব্দুর রহিম জমিতে পাট কাটছিলাম। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের দৌলতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা এসে বাংলাদেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে রাইফেলের বাঁট দিয়ে পেটাতে থাকেন আমাকে ও ছেলেকে। একপর্যায়ে আমাকে রেখে পালিয়ে যায় রহিম। এরপর তাঁরা সবাই মিলে আমাকে পেটাতে থাকেন।’
এসলাম আলী আরও বলেন, ‘নির্যাতন করে বিএসএফ সদস্যরা ভারতে চলে যান। পরে ছেলে ফিরে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কোনো অপরাধ না করেই আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরে ব্যাখ্যা চেয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’