
নিজস্ব প্রতিনিধি :: সাংবাদিক বানানোর আশ্বাসে এক কিশোরী গার্মেন্টকর্মীকে বিয়ে। অতঃপর দুই মাসের মাথায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল (৬০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল আদালতে তোলা হলে সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের ওসি শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১৫ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার টাংগাটি গ্রাম থেকে ওই গার্মেন্টকর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামি রাজ্জাকের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার টাংগাটি মধ্যপাড়ায়।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান জানান, দুই মাস আগে ওই গার্মেন্টকর্মীর সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুর রাজ্জাকের। পরে তাকে সাংবাদিক বানানোর আশ্বাসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর গাজীপুরের গাছা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করে। রাজ্জাক ও তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
তাই ভাইকে ফাঁসাতেই গত ১৪ মার্চ স্ত্রীকে বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে ধোবাউড়া গোয়াতলা কংশ নদীর তীরে এনে অপেক্ষমাণ দুই সহযোগী বন্ধুকে দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর লাশ আমিনুলের বাড়ির পাশে ক্ষেতে ফেলে রাখে চলে যায়।
ওসি আরও জানান, লাশের সঙ্গে আমিনুলের ছেলে শহীদুল্লাহর জন্মনিবন্ধনের ফটোকপিও রেখে দেওয়া হয়। গত ১৬ মার্চ এ বিষয়ে ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।