নিজস্ব পতিবেদকঃ নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে ও ইনাতগঞ্জে পৃথকভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষ সহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্য আশংখাজনক অবস্থায় ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এতে অন্যান্য আহতরা নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে দুটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারন এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনবতি নিয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই এসব ঘটনার চাপ প্রশাসনের দীকে দিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা বলছেন কা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের আলোচিত একটি গ্রামের নাম হচ্ছে কসবা! বিগত প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে ঐ গ্রামবাসীর মধ্য নানান বিষয়াদী নিয়ে বিরোধের সৃস্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার লোক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষ, হামলা, পাল্টা হামলা, নারী নির্যাতন, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এতে
অনেকেই পঙ্গুত্ত সহ সর্বশেষ ৫টি হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যস্থ্যতায় গ্রামে শান্তি ফিরে আসে।
কিন্তু ইদানিং আবারও গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশানের নিরব ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে চলছে নিন্দার ঝড়।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কসবা গ্রামের ময়ুর হোসেন ও মাহমুদ আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে প্রায় ২ঘন্টা ব্যাপী উভয় পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হন। এতে গুরুতর আহত লিটন মিয়া (৩৮) ও রাশাহিদ মিয়া (৩২)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যান্য আহতরা হলেন, ছেরাগ আলী(২৭), ছাদ্দিক মিয়া(৪৫), সাহিবুর রহমান(৩৮), মনসুর আহমেদ (২৮), তছলিম মিয়া (২৬), আহাদ মিয়া( (৪৮), ফয়েজ আহমেদ(৫০), ইমরান মিয়া(২৩), দিলবার হোসেন(৪০)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সংঘর্ষের পর ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
অপরদিকে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামে আনছার উদ্দিনের নেতৃত্বে মালু মিয়ার বাড়িতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ঘন্টা খানেক সংঘর্ষে নারী- পুরুষ সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা মধ্যে মালু মিয়া(৫২), সুবায়েল মিয়া(৩০), রিপন(২২), মহিমা বেগম(৩৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যান্য আহত মামুন আহমেদ(২৮) ও রুহেল(২৫)কে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালীন এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ঘটনা স্থলে গেলেও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির প্রশাসন যায়। কিন্তু সে সময় ঘটনাস্থল ছিল ফাঁকা!
এ ব্যাপারে এএসআই লোকেস দাশ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কসবা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপর অারেক প্রশ্নের জবাবে প্রজাতপুর সংঘটিত সংঘর্ষের ব্যাপারে জানেননা বলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে কিছু জানান।