
নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর: রাজশাহীর দুর্গাপুরে পাওনা টাকা না দেয়ায় উপজেলার ২নং কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার আলী মোল্লাকে আটকে রেখে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার আলীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ চেয়ারম্যান আফসার আলীকে উদ্ধার করেন। এদিকে, চেয়ারম্যান আফসার আলী মোল্লা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য পদেও রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যান আফসার আলী নিজ গ্রাম গোপালপাড়ার বাড়ি থেকে বের হয়ে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আলীপুর বাজারে পৌঁছাতেই কালাম নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যান আফসার আলীর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে নিয়ে গিয়ে কালাম নামের ওই ব্যাক্তি খাস পুকুর ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে তার পাওনা বাবদ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলীর কাছে।
পরে চেয়ারম্যান সেখানে থেকে চলে যেতে চাইলে তাকে না যেতে দিয়ে সেই দোকানে আটকে রেখে কালাম চেয়ারম্যান আফসার আলীকে বলেন, আমার পাওনা টাকাগুলা দিয়ে এখান থেকে তারপর যান। পরে জরুরী সেবা সংক্রান্ত হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান আফসার আলীকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল কালাম বলেন, আমি চেয়ারম্যানের নিকট হতে ৮৫ হাজার টাকা পাবো। সেটি তিনি না দিয়ে নানান টালবাহানা করে আসছিলেন। চেয়ারম্যান আফসার আলী আমার পাওনা টাকাগুলো কবে দিবেন সেটি জানার জন্য দোকানঘরে বসিয়ে রেখেছিলাম।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী মোল্লা জানান, দুর্গাপুরে আমার মিটিং ছিলো। পথিমধ্যে আলীপুর বাজারে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে জোর করে আটকে রাখে কালামও তার সহযোগীরা ৷ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে তারা।
দুর্গাপুর থানার এস আই গুলজার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান আফসার আলীকে উদ্ধার করেছি। এছাড়া উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও ইউএনও স্যার দেখবেন।