ডেস্ক নিউজঃ মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ব্রিটেন, আমেরিকা ও সুইডেনের প্রায় ২ হাজার ৬০০ জন COVID Symptom Study app ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে ৬ রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এর সঙ্গে লন্ডনের বিভিন্ন হাসপাতালে ওই সময় চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদেরও পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। জেনে নিন ৬ রকমের করোনাভাইরাস ও তাদের বিভিন্ন উপসর্গ:

প্রথম: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। জ্বর না থাকলেও গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি মতো উপসর্গগুলি দেখা যায় আক্রান্তদের মধ্যে।

দ্বিতীয়: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলি পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

তৃতীয়: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দু’-তিন দিন ধরে পেটে পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো বা মোচড় দেওয়া, ডায়রিয়া, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলি থাকে না।

চতুর্থ: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব লক্ষ্য করা যায়।

পঞ্চম: এই ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির মতো সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে সামান্য জ্বরও থাকে।

ষষ্ঠ: এই ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।

সূত্র: জিনিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে