নিজস্ব প্রতিনিধি: এক সময় সুপারি ঝাকা ডালির ব্যবসা করে চলত সংসার। কিন্তু কাউন্সিলর হয়ে ভাগ্য বদল হয়ে যায় সাবের কাউন্সিলরের।কেশরহাটের সড়ক জনপদের কোটি টাকা মুল্যের জায়গা দখল করে বানিয়েছেন মার্কেট। শুধু তাই না তার কাজের লোকের বউকেও ভাগিয়েছেন এই কাউন্সিলর। তিনি কেশরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র। ক্ষমতার দাপটে সরকারি জায়গায় মার্কেট তৈরির বিরুদ্ধে স্হানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী প্রতিবেদনে প্রকাশ করলে তাকে প্রান নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় এই কাউন্সিলর।এতে করে কেশরহাটের ব্যবসায়ীরা সাবেরের অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার ফুলসু গ্রামের মৃত জব্বারের পুত্র সাবের আলী। তিনি এক সময় ওই বাজারে সুপারি ও ঝকা ডালির ব্যবসা করতেন। বিগত ২০১৬ সালে প্রথম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর থেকে সাবেরের উত্থান শুরু। নানা অপকর্মে লিপ্ত এই কাউন্সিলর। তার শ্রমিক হিসেবে পালসা গ্রামের জৈনক ব্যক্তি কাজ করতেন। প্রায় সময় সাবের ওই শ্রমিক কে দিনে রাতে তার পুকুর দেখাশোনা করতে পাঠিয়ে আকাম কুকাম করত। এক সময় দুই সন্তানের জননী কে বিয়ে করেন। ভেঙে যায় ওই শ্রমিকের সাজানো সংসার। সে এখন ওই উপজেলার শামপুর হাটে ছোট মুদি দোকানি।
এছাড়াও কাউন্সিলর সাবের আলী কেশরহাটের সরকারি রাস্তার ধারের সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিমে দখল নিয়েছেন কাউন্সিলর সাবের। এমনকি ফুলসু বিলে কৃষি জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করে পুকুর খনন করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি দিচ্ছেন।
এনিয়ে কাউন্সিলর সাবের আলীর ০১৭১২- ২৪০৬৭২ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। সরকারি রাস্তার ধারে কে বিক্রি করল জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন আমার জায়গা কিছু করার থাকলে করেন। আপনি কাজের স্ত্রী কে নিয়ে ভেগেছেন জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সে আমার স্ত্রী বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।
কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজজান শহিদের সাথে কথা বলা হলে তিনি সাফাই গেয়ে বলেন তার কিনা জায়গা না হলে মার্কেট করবেন কেন।রাস্তার ধারের জায়গা তিনি কিভাবে কিনলেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাকে জিজ্ঞেস করেন কিভাবে কিনল।
কেশরহাট ভুমি অফিসের তহসিলদার ইকবাল হোসেন বলেন রাস্তার পশ্চিমে রডস্ এন্ড হায়ওয়ের জায়গা, আর পুর্ব দিকে কিছু ব্যক্তি মালিকানা ও সরকারি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি অতিশীঘ্রই উচ্ছেদের ব্যবস্হা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।