তানোর প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোরে শীবনদী বা বিলকুমারী বিলের উপর নির্মিত ব্রীজ সংযোগ সড়কে এক বেলার বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন ও সরে গেছে ব্লক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত সোমবার সকাল থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি হয়। এতেই সদ্য নির্মিত সংযোগ সড়কের একাধিক জায়গায় প্রচুর ফাটল, ভাঙ্গন ও ব্লক সরে গেছে। এছাড়াও পুরো রাস্তায় প্রচুর পানি জমে থাকার কারনে চলাচলে চরম দূর্ভোগ শুরু হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে উর্ধ্বে দেড় কিলোমিটার দূরে হলেও জানেন না প্রকৌশলী বা কর্তারা। ফলে অলৌকিক সংযোগ সড়কের প্রকল্প দীর্ঘ দেড় যুগেও শেষ হচ্ছেন, হয় তো আরো এক যুগ লাগতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। আর এর জন্য দায় এলজিইডি ও ঠিকাদার আব্দুর রশিদ বলে মনে করছেন দুই উপজেলার বাসিন্দারা।

গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ থেকে শুরু ব্রীজ সংযোগ সড়ক। সড়কটি এইচবিবি করন করা হয়েছিল। ব্রীজের পশ্চিম দিকের পুরো সড়কে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি পুরো রাস্তায় জমে থাকার কারনে চলাচল করতে পারছেন জনসাধারন। ঈদের দিনের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে বিনোদন প্রেমিরা তেমন ভাবে আসতে পারেনি। কিন্তু গত সোমবার সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিস্কার ছিল। কিন্তু সড়কে জমে থানা পানি ও পূর্বদিকের ভাঙ্গন বাগড়া বসায়। ভাঙ্গনের জায়গায় ছবি তুলছিলেন, মনিরা, মেঘনা, আকাশ, নিলয় সহ তাদের বন্ধুরা। তারা জানান আমাদের বাড়ি নিয়ামতপুরে, প্রতি ঈদে ব্রীজে আসি। কিন্তু এবার বৃষ্টির জন্য আসা হয়নি ঈদের দিন। সোমবারে সকালে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকে আকাশ পরিস্কার ছিল। এজন্য আসা। কিন্ত পুরো সড়কে পানি জমে আছে এবং ব্রীজের পূর্বদিকের সড়কের উত্তর সাইডে ছবি তোলার সময় পা দেওয়া মাত্রই বসে যায় এবং অনেক ব্লক এলোমেলো ভাবে সরে গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ চলছে কিন্তু শেষ হচ্ছে না। পথচারী মাহাবুর, ওবাইদুর, আতিক, শামিমসহ অনেকেই জানান, আমাদের জীবত দশায় কাজ শেষ হবে না। কারন কিছুদিন আগে ব্লক ও বালু দিয়ে ভরাট করে এইচবিবি করা হলো। অথচ ব্রীজের পূর্বদিকের সংযোগ সড়কের উত্তর সাইডে একাধিক বিশাল আকারের ফাটল ধরেছে এবং ব্লকের কাজ চলমান থাকার পরও সরে যাচ্ছে। সামান্য একবেলার বৃষ্টিতে যদি এঅবস্থা ঘটে তাহলে বন্যার স্রোতে সব ভেঙ্গে যাবে। কারন কাজগুলো রাতের আধারে নিম্মমানের করা হয়েছে। কাজের সময়ও কেউ থাকেনা। টিকাদার আর মিস্ত্রীরা ইচ্ছেমত কাজ করে। এজন্যই এমন অবস্থা। এখন তানোর ও মোহনপুর বাসীর দূর্ভোগের আরেক নাম এই সংযোগ সড়ক।
ঠিকাদার আব্দুর রশিদ জানান, ব্রীজের পূর্বদিকের সড়কে ব্লকের জন্য সাড়ে ৩ কোটি ও ২৫০ ফিট রাস্তার জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ। এসব আগের বরাদ্দ, এখন সবকিছুর দাম দ্বিগুন কাজ করতাম না, কিন্তু জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীর অনুরোধে কাজ করছি। নচেৎ লাইসেন্স বাতিল হলেও কাজ করতাম না।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, বৃষ্টিতে যত ভাঙ্গবে বা ব্লক সরে যাবে ততই ভালো হবে। কারন তাহলে দূর্বল জায়গা গুলো চিহ্নিত করতে পারব। বুধবারে সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে