সারোয়ার হোসেন : রাজশাহীর তানোর উপজেলার ৪নং সরনজাই ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নের রূপকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক খান বলে মনে করছেন ভোটারেরা। কারন তিনি টানা দুবারের পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন বলেই তার হাত ধরেই যাবতীয় উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল সাধারন ভোটারসহ দল মত নির্বিশেষে সকলেই। তিনি অবশ্য ২০১৬ সালের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। পরাজিত হয়েও সার্বক্ষণিক দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ভোটারদের মাঝেই আছেন বিগত পাঁচ বছর ধরে। ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনায়ন ফরম তুলেছেন বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক খান।তিনি এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বারের মত চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন মোজাম্মেল হক খান। ওই সময় বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতার মসনদে ছিল। আর রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের এমপি ছিলেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। সাবেক ডাক টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার কারনে এবং সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান দলের এজন্য ব্যাপক উন্নয়ন করেন। অবশ্য ১৯৯১ সালে প্রথম এমপি হয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত মোজাম্মেল ওই ইউপির যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছিলেন ।
ভোটারেরা জানান, চেয়ারম্যানের হাত ধরেই সরনজাই কলেজ, বালিকা বিদ্যালয়, প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, ভোকেশনাল স্কুল, দাখিল মাদ্রাসা , শুকদেবপুর হাই স্কুল, ইউপি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অসংখ্য রাস্তা নির্মাণ সংস্কার, প্রটেকশন ওয়াল, কালভারট,বিশুদ্ধ পানির জন্য মটর স্থাপন করে পানি সাপ্লাই দেওয়া, মসজিদ, ঈদগাহ সংস্কার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণসহ ইউপি এলাকাকে ১০০% স্যানেটিশন এবং কোন অনিয়ম ছাড়াই এসব উন্নয়নের জন্য জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের স্বর্ণ পদক অর্জন করেন মোজাম্মেল হক। যার কারনেই তৃণমূল ও সাধারন ভোটারদের দাবির প্রেক্ষিতেই এবারের নির্বাচনে দল অংশ না নিলেও তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক জানান, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ আছে। ভোট করার কোনই ইচ্ছে ছিলনা, যেহেতু দলীয় ভাবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেনা বিএনপি। কিন্তু ভোটার ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই অংশ নিতে হচ্ছে। তবে সুষ্ঠ ভোট হলে এবং ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারেরা যদি ভোট দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিজয়ী হব।
অবশ্য অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান নিরপেক্ষ সুষ্ঠ পরিবেশেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর মনোনায়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন, বাছাই হবে ২০ অক্টোবর ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ অক্টোবর এবং ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।