সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিলিমপুর গ্রামের (নাপিতের) সরকারি খাস পুকুরের মাটি পুকুর খননের নামে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি ব্যবসায়ী কর্তৃক ইট ভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রনোদিত প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য থাকে যে একশ্রেণীর নামধারী অসাধু কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট ও উপজেলা প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে গত ১৬ ই(নবেম্বর) বুধবার একটি ভিডিও চিত্র এবং ভুল বাল তথ্য দেয় ক্রাইম বার্তা এজেন্সি,ক্রাইম ভিত্তিক জাতীয় বার্তা সংস্থা’র কাছে।
যার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সংবাদ বুলেটিন, নিউজ টাঙ্গাইল, সময় নিউজ এবং ক্রাইম বার্তা এজেন্সি’র অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে একটি ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
যা ইতিমধ্যে ক্রাইম বার্তা এজেন্সি’র সখীপুর উপজেলা প্রতিনিধির দৃষ্টি খোঁচার হলে মূল রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানে নেমে যায় ক্রাইম বার্তা এজেন্সি’র একটি বিশেষ টিম। এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য প্রচারের জন্য তীব্র নিন্দা জানান।
এটি অতি দ্রুত সখীপুর উপজেলা প্রশাসন নির্বাহী অফিসার ইউএনও প্রকৌশলী ফারজানা আলম এর নজরে আসে এবং তিনি বিষয় টি আমলে নিয়ে সরেজমিনে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে এবং কঠোর নজরদারিতে পুকুর খনন করতে নির্দেশ প্রদান করে শিডিউল অনুযায়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ইন্জিনিয়ারকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সরকারি খাসপুকুরটি বিগত ১০-১১-২০২২ বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও প্রকৌশলী ফারজানা আলমের নির্দেশে ভূমি অফিসার ও সার্ভিয়ার খাসপুকুরটিতে মাটি কেটে পাড় বাধার অনুমতি দিয়ে আসেন।
এসময় খাস পুকুরের মাটি খননের কাজটি কালিয়ান গ্রামের সোলায়মান, সজীব ও বাবুল নামের বেকু ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়।
যে কারণে একটি কুচক্রী মহল উক্ত মাটি কাটা স্থানের ভিডিও ও ভুল বাল তথ্য দেয় ক্রাইম বার্তা এজেন্সি সিনিয়র রিপোর্টারের নিকট যাহা ক্রাইম বার্তা এজেন্সি সখীপুর উপজেলা প্রতিনিধি অবগত না থাকায় সরেজমিনে ১৭ (নবেম্বর) বৃহস্পতিবার প্রত্যক্ষ ভাবে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরেন।
আরও জানা যায় বহেড়াতৈল ইট ভাটার মালিক আ: রহিমের দুটি ভেকু দিয়ে এ সরকারি খাস পুকুরের মাটি কেটে পুকুরের পাড় বাধার কাজ চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে সরেজমিনে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও প্রকৌশলী ফারজানা আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ক্রাইম বার্তা এজেন্সি কে বলেন, টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য অফিস থেকে উপজেলার পরিত্যক্ত বেশকিছু পুকুর সংস্কারের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর তালিকা পাঠিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায়
এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা মৎস্য ও উপজেলা মৎস্য অফিসার ও প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে পুকুর খননের কাজ করা হচ্ছে।
পুকুরের মাটি দিয়েই পুকুরের পাড় বাধা হচ্ছে এবং শিডিউল অনুযায়ী খনন করা হচ্ছে পুকুরটিতে।তবে খাস পুকুরের মাটি বিক্রির কোন সুযোগ নেই।
একশ্রেণীর কুচক্রী মহল সরকারের উন্নয়ন ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত কঠোর নজরদারিতে সরকারি খাস পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ বলেন, খাস পুকুর খনন করা হচ্ছে আগে তিনি জানতেন না কিন্তু ঐ পুকুরের সুফল ভোগীর কাঁচা ধান কেটে মাটি কাটার গাড়ি নিয়েছেন এমন খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যান তিনি এবং তখন জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ও ভূমি অফিসার বেকু ব্যবসায়ীদের পুকুর খনন করার অনুমতি দিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার খাস পুকুর ইজারদার,সুফল ভোগী ও মৎস্য চাষিরা দাবি করেন সংস্কার যোগ্য পুকুর গুলা মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে খনন করা হচ্ছে এবং খাস পুকুরের মাটি কেটে পাড় বাধার কাজ চলছে।