
ডেস্ক নিউজঃ শৌখিন ফল চাষি মঈনুল আলম। চারুকলার ডিগ্রিধারী এ চিত্রশিল্পী ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রিন্টিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন দিয়ে। ফটোগ্রাফিতেও রয়েছে তার সুখ্যাতি। এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেও ফটোগ্রাফিতে পেয়েছেন সাফল্য। বর্তমানে ব্যস্ত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া গ্রামে গড়ে তোলা বাগান নিয়ে। ২০ একরের এ বাগানের মাত্র ১ একর জায়গায় চার বছর আগে শখের বশে শুরু করেন ড্রাগন ফলের চাষ। একটি মাত্র চারাগাছ দ্বারা শুরু করে এখন তার বাগানে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। এ বছর প্রায় সব গাছেই ফল ধরেছে। বাগানে ইতিপূর্বে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করে দেখেছেন তিনি, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। তবে ড্রাগন ফলের চাষ করেই আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হতে শুরু করেছেন।
এতে বেশ বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মঈনুল। সাধারণ মানুষের কাছে তেমন পরিচিত না হলেও অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ড্রাগন ফলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজারে এর ভালো দামও রয়েছে। বড় বড় চেইন শপে ১ কেজি ড্রাগন ফল ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও শৌখিন চাষি মঈনুল মাত্র ৩০০-৩৫০ টাকা দামেই বিক্রি করেন। রপ্তানিযোগ্য এ ফলের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়েও বেশ আশাবাদী তিনি। মঈনুল আলম বলেন, ‘বাজারে এ ফলের চাহিদা এবং দাম দুটোই রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে আরও পরিচিত করে তুলতে আমি কম দামেই বিক্রি করি। অনেক সময় বন্ধুবান্ধবদের উপহারও দিই। এতে আমার এক ধরনের লাভ হয়েছে। তা হচ্ছে, বাজারে অনেক ধরনের ড্রাগন ফল পেয়ে থাকলেও আমি লাল জাতের ড্রাগনের চাষই করেছি। অর্গানিক পদ্ধতিতে শুধু ভার্মিকম্পোস্ট সারই ব্যবহার করি। এতে ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু হয়। ফলে আমার ড্রাগন যিনি একবার খেয়েছেন তিনি আবারও ফোন করে অর্ডার করছেন। আগ্রহীরা যে কেউ সহজেই দেশের মাটিতে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে সফলতা অর্জন করতে পারেন। কম ঝুঁকিতে কাটিং পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে বাগান সম্প্রসারণ করা যায়।’