এম ইসলাম দিলদার,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকার করতে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে সততা,ন্যায় ও নিষ্ঠার প্রতীক বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, সাজ্জাদ হোসেন এর মতো মানবিক পুলিশ অফিসার।
তিনি একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাষী অফিসার ইনচার্জ। প্রতিনিয়ত তিনি কর্মক্ষেত্রে তাঁর অধিনস্ত সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগন ও দেশের কল্যাণে। “পুলিশ জনগণের বন্ধু” এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে।“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে।
অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন রাজশাহী জেলার বাঘা থানার মানুষের চোখে কাজে ও কথায় একজন সৎ, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। বাঘা থানার অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের বন্ধু ভাবে। তিনি তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা বাঘা উপজেলার মাদকনির্মূল , সন্ত্রাসদমন, চাঁদাবাজীমুক্ত, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে এলাকায় কঠোর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করছেন। তার চোখে ধনী-গরীব, জেলে, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণীপেশার মানুষ সমান।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন এর মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন এর মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করবে বলে এলাকাবাসী মনে করে।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন । একইভাবে ওসি সাজ্জাদ হোসেন তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।
শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট বৃক্ষ ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন থানার সকল স্টাফ ও সাধারণ মানুষও।
থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি মাদক ব্যবসা ও মাদক গ্রহণ কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। এছাড়াও বাঘা থানায় আইনি সহায়তা নিতে টাকা লাগেনা। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে।
অন্যদিকে বাঘা থানায় যোগদানের ১৪ মাসের মধ্যে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং প্রথম বার রাজশাহী রেঞ্জ সেরা হওয়ার পাশাপাশি ৬ দিন পরে ১৮ সেপ্টেম্বর জেলাতেও পঞ্চম বার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু। শ্রেষ্ঠত্বর পুরষ্কার হিসেবে তার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেল বিপিএম ও পিপিএম(বার) এবং জেলা পুলিশের সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার)।
থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক ওসি সাজ্জাদ হোসেন স্যার। তিনি চলতি মাসে রেঞ্জ ও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের ওসি স্যার পরপর পঞ্চম বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন। এমন একজন অভিভাবক পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, সাজ্জাদ হোসেন সাজু সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি বাঘা উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করব। কে গরীব, লুঙ্গি পরা, কৃষক কে ধনী আমার কোন সহায়তার কমতি থাকে না।সবাই আমার কাছে সমান অধিকারী মানুষ।তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন রাজশাহী জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধী কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।