নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্রনেতা জিয়াবুল হোসেন এর ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ২৮ নভেম্বর।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে জিয়াবুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ১৯৯০ সালের ২০ নভেম্বর। এরপর ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি ২৮ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় থেকেই দিনটি শহীদ জিয়াবুল দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
শহীদ জিয়াবুল রাজশাহী মহানগরীর মুসলিম হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থাতেই এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মবিন সবুজ সহ ছাত্রলীগের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, শহীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ , কালো ব্যাজ ধারণ ও সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সকাল সাড়ে ১১ঘটিকায় রাজশাহী কলেজ হিন্দু হোষ্টেল থেকে শোক র্যালি শুরু করে রাজশাহীর মহানগর ছাত্রলীগ।র্যালিটি শহরের মনিচত্বর হয়ে শহিদ জিয়াবুল হোসেনের কবরস্থানে শেষ হয় এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন” শহিদ জিয়াবুল হোসেন আমাদের অনুপ্রেরণা, তার আত্মত্যাগ থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ বিনির্মাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাবো,দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং উত্তর বঙ্গের অভিবাবক রাজশাহী সিটি করপোরেশন মাননীয় মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করবে রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।