রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় আদালতকৃত জারি করা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে শুধুমাত্র লাঠির জোরে বোরো ধান লাগানো ও কর্তনের অভিযোগে উঠেছে। জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুর রহমান নামের একজন অাটক করে থানায় নিয়ে অাসে।
এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি বামনদীঘি গ্রামের মৃত অাব্দুল মালেকের ছেলে সানাউল্লাহ ও হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ ভাইয়ের সাথে একই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে অাব্দুল জব্বারের ৩.৪৫ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে অাসছিল। উক্ত জমি নিয়ে অাদালতে মামলা রয়েছে।
অাব্দুল জব্বারের ছেলে রবিউল ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য অামরা জমি চাষাবাদ করলে হঠাৎ আমাদের গ্রামের মৃত অাব্দুল মালেকের ছেলে সানাউল্লাহ ও হাবিবুর রহমান জোর করে লাঠি বাহিনী দিয়ে জোর পূর্ব বোরো ধান লাগায়। কিন্তু ধানের পরিচর্যা আমরা করি। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত ভোর রাতে সানাউল্লাহ ও হাবিবুর রহমান তাদের ২৫/৩০ জন লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা উক্ত জমির অাধা পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নেয়। উল্লেখিত জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। জোরপূর্বক ধান কর্তনের সময় আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয় এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমরা শক্তিতে তাদের থেকে দূর্বল। তাই তারা বার বার আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমরা জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোহনপুর থানার পুলিশ বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুর রহমান (৩০) অাটক থানায় নিয়ে অাসে। উক্ত জমির কাটা ধান সানাউল্লাহ,র বাড়িতে রয়েছে। তারা শুধুমাত্র লাঠিয়াল বাহিনীর শক্তি দিয়ে সম্পত্তি দখল করতে চায়। আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মোহনপুর থানার তদন্ত (ওসি) তৌহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগে প্রেক্ষিতে হাবিবুর রহমান নামের একজন অাটক করা হয়েছে। উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডাকা হয়েছে। মিমাংসা না হলে অাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।