চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর সীমান্তবর্তী উপজেলা চারঘাটে এবার আগাম শিমের ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হয় বলে উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শিমের আবাদ। এতে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
শীতকালীন এ সবজি আগে আগে বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা শিমচাষিদের।
কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন এ সবজি আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর চারঘাট উপজেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে আবাদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১০ হেক্টরে। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শিমের আবাদ।
নন্দনগাছী গ্রামের বাহাদুর আলী এ বছর নিজের ২৪ শতাংশ জমিতে শিম আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাসের শুরুতে কিছু শিম তুলে বিক্রি করেছি ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হবে। সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছি।’
শিমচাষিরা বলেন, মৌসুমের শুরু, সে জন্য ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে শিম কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে। শেষ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও ভালো লাভ হবে।
চারঘাট সদর বাজারে গতকাল শিম বিক্রি হতে দেখা যায় খুচরা ৬০-৭০ টাকা কেজিতে। ১০ দিন আগে ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি।
চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, চারঘাটের জমিগুলো অপেক্ষাকৃত উঁচু হওয়ায় শিম চাষের জন্য বেশ সম্ভাবনাময়। এটা শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সব মৌসুমেই চাষ হচ্ছে। ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।