রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী নগরীতে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাইকে করে দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছিলেন এ চক্রের মুল হোতা ইয়াসির আরাফাত। এর আগেও কয়েক দফায় গ্রেফতার হয়েছিলো সে। কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও ঈদকে ঘীরে নামেন ছিনতাইয়ে। অবশেষে সিসি টিভির ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনায় আবারও ২৭ এপ্রিল পুলিশ আটক করে দুর্ধর্ষ ছিনতাই চক্রের হোতা ইয়াসির আরাফাতকে। সে নগরীর হড়গ্রাম এলাকার অধ্যাপক রায়হানুল ইসলামের ছেলে।

তার দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, টিকা পাড়া এলাকার খোদাবক্স ইয়ামিনের ছেলে খালেক বিন ইয়ামিন ওরফে শাওন ও সুলতানাবাদ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহানুল ওরফে মিম।

বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, নগরীর ষষ্টীতলা এলাকার মো. টিটু ২৭ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে সৈয়দা তাসনীন তামান্না মিষ্টি বাড়ি থেকে বের হয়ে ষষ্টীতলা মোড়ে পৌঁছালে একটি কালো রঙয়ের মোটরসাইকেল পেছন থেকে এসে তার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। ব্যাগে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিল। মামলা থানায় হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ওই এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে ইয়াসির আরাফাতকে শনাক্ত করা হয়। এরপর মহিলা কলেজের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বাদী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা চিনতে পারেন। ইয়াসির আরাফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে শনিবার অভিযান চালিয়ে মিম ও শাওনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে বাইক নিয়ে নগরীতে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বাইক নিয়ে ছিনতাই চক্রের মূল হোতা সে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

ইয়াসিনের এলাকাবাসী জানায়, ইয়াসিন মাদকাসক্ত। তার বড় ভাই একজন সাংবাদিক নেতা। সেই সুযোগে সে নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন তার ভাইয়ের সুবাদে দিচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা। এর আগেও ছিনতাই ও জাল টাকা মামলায় সে জেলে গিয়েছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গরা বলেন এর আগে রাজশাহীর আরেক সাংবাদিক নেতার ভাই নাটোরে মাছসহ ট্রাক ছিনতাই মামলায় আটক হয়েছিলো। এখন আরেক সাংবাদিক নেতার ভাই দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। বিষয়টি সামাজিকভাবে ভাবার বিষয়। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে আরো গভীর তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন তারা।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *