স্টাফ রিপোর্টার :সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকের অটুট বন্ধন। যার কখনই ফাটোল ধরে না। তবে স্বার্থের কাছে আজ পরাজিত ও লাঞ্ছিত হচ্ছে প্রকৃত সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং নিবেদিত সাংবাদিক কর্মী। তবে হঠাৎ করেই দেশ টাকে চারদিক থেকে ভয়ংকর ভাবে আকঁড়ে ধরেছে ভূইফোঁড় ও কথাকথিত সাংবাদিকের দল। ঠিক এমন এক ভূইফোঁড় ও কথাকথিত সাংবাদিকদের দৌরত্ব বেরেছে রাজশাহী জেলায়। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে যুবককে জিম্মি,বাড়ি ঘর নির্মনে চাঁদাদাবি,সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়,বিভিন্ন অসুধু পুলিশের সাথে সক্ষতা রেখে বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের ফঁসিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী করে আসছে তারা। তাদের দাবীকৃত চাঁদার অর্থ না দিলেই কিছু ভূইফোঁড় অনলাইন ও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ব্যাক্তিগত ফেসবুক পেজে অশ্লির ছবি ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এমন ভয়ে তাদের কাছে যিম্মি হয়ে পড়েছে রাজশাহীবাসী। এ বিষয়ে অবগত ঊর্ধ্বতন মহলও। সাংবাদিক নেতারাও জানেন এ কথিত সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যের কথা। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা তারা নেন না। কারণ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের ভোটের দৌড়ে তাদের কদর অনেক বেশি।
এদের মধ্যে প্রথমেই যার নাম আসে সে হচ্ছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজপাড়া থানা এলাকার নতুন বিলসিমলা গ্রামের রংমিস্ত্রি মোঃ মাসুদ আলী পুলক। সে পেশায় রংমিস্ত্রি হলেও গত কয়েক বছর থেকে নিজেকে কয়েকটি ভূইফোঁড় অনলাইন এর সাংবাদিক পরিচয় দেন। সাথে নগরীর চিন্হিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন তার অপরাধ চক্র। এই চক্রটি পুরো রাজশাহী জেলাসহ আশে পাশের জেলায় বিভিন্ন মেয়ে দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে যুবককে জিম্মি,বাড়ি ঘর নির্মনে চাঁদাদাবি,সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়,বিভিন্ন অসুধু পুলিশের সাথে সক্ষতা রেখে বিভিন্ন ছেলে মেয়েদের ফঁসিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী করে আসছে তারা। তাদের দাবীকৃত চাঁদার অর্থ না দিলেই কিছু ভূইফোঁড় অনলাইন ও তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ব্যাক্তিগত ফেসবুক পেজে অশ্লির ছবি ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। কিছু কিছু যায়গাতে আবার গনধোলাইও খাচ্ছে তারা। তাও তাদের দৌরত্ব থামানো যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, নতুন বিলসিমলা গ্রামের মৃত মনসুরের ছেলে রংমিস্ত্রি মোঃ মাসুদ আলী পুলক । সে ও তার পরিবার জামাত শিবিরের সহযোগী। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় জামাত শিবিরের জ্বালাও পোড়াও তান্ডবে এদের ভুমিকা ছিলো অন্যতম। আর পুলোক ও তার বাহিনি নেশাকরে বিভিণ্ন অকাম কুকাম করে বেরায়। তাদের রুখতে গেলেই খেতে হয় মিথ্যা মামলা ও হয়রানী মুলক প্রচার প্রচারনা। মাদকের জন্য এমন কোন নিকৃষ্ট কাজ করতেও বুক কাঁপেনা।
এলাকাবাসীরা আরো জানায়, রংমিস্ত্রি পুলকসহ এ সকল ভূইফোঁড় অনলাইন সাংবাদিকদের দ্বারা অত্র এলাকার মিানুষেরা অত্যাচারে আছেন। তারা সকলেই নেশার সাথে জড়িত। আজ একে মেরে তার মোবাইল মানিবেগ কেরে নেয় তো কাল কারো সাইকেল,মটর সাইকেল। অনেকে তাদের হাতপা ধরেও রেহাই পান না। বাড়ি ঘর করার জন্য রাস্তায় ইট বালি রাখলেও এই পুলকবাহিনিকে দিতে হয় চাাঁদা । চাাঁদা না দিলে কোন গাড়ি ঢুকতে দেয়না এই পুলোক বাহিনি। এছাড়াও নেশার টাকা না পেলে তারা বাড়ি বা বিল্ডিং করার স্বরঞ্জাম জোরকরে তুলে নিয়ে বিক্রি করেদেন। পুলিশ প্রশাসনকে বলে কিছু হয়না তাদের। তারা বলেন আমাদের বিষয়ে পুলিশ এসে মারখাবে। এর আগেও সিটি হাটের আগে শাহমখদুম থানার এএসআই পল্লবকে মারধর করেছে। এএসআই হয়েও সে পুলক বাহিনির কিছু করতে পারেনি। আমরা কি করে পারবো বলেন। এরা অমানুষ ওকে ধরে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির, ব্যবস্থা করে মাদক মুক্ত , যুব সমাজ কে মুক্ত করার জোর দাবি জানান তারা।
আরএমপি পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিলসিমলা গ্রামের মৃত মনসুরের ছেলে রংমিস্ত্রি কথিত এই সাংবাদিক মাসুদ আলী পুলকের নামে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা ও কয়েক ডজন সাধারণ ডায়েরী আছে। এর আগে তার বোন এক ডাক্তারের টাকা চুরি করা মামলাই আটক হলে এই পুলোক সেই ডাক্তারকে মোবাইলে হুমকি ধামকি করে । এ ছাড়াও রাজপাড়া থানার জিআর মামলা নং ৬৬ ছিল, আগে বর্তমানে এই মামলার মহানগর দায়রা মামলা নং ১৭৮৩/২১ চলমান। এই মামলার অভিযোগে গত ২০২১সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পেশা মাটি কাটার কাজে রাজপাড়া থানাধীন মহিলা কমপ্লেক্স এর বিপরীতে নবনির্মিত বিল্ডিং “স্টেট ভিউ কাউনন্ডেশনের” প্রেজেক্ট স্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেন ঠিকাদার জাবেদ আলী। এ সময় এই পুলোকসহ ১০/১২জন ব্যবসার সাইটে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় তারা স্কেভেটর মেশিনের ড্রাইভার জামিরুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনকে মারধোর করে মেশিন বন্ধ করে দেয়। তেরখাদিয়া কামারুজ্জামান মসজিদে এশার নামাজ পড়ে ঠিকাদার জাবেদ মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় মসজিদের গেটের সামনে তাকে থামিয়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় ঠিকাদার পুলককে চাঁদা দিতে না করায় তারা ঠিকাদারের ওপরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় পুলক ২০দিন হাজতবাস করেছে। এ ছাড়াও গত২৫-১১-২০২০ইং তারিখে শাহমখদুম থানায় কর্মরত এএসআই পল্লবকে তার বিলসিমলা গ্রামে তার একটি বাড়ি নির্মানে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন এই পুলক বাহিনি। এমনকি একইদিন রাজশাহী সিটি হার্ট এলাকায় এই এএসআই পল্লবকে পুলক বাহিনি বেধর পিটিয়েছিলেন পলেক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য এএসআই পল্লব রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আরএমপি কমিশনার বরাবর বিচার চেয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন বিচার পাননি তিনি। এখানেই শেষ নয় এই রংমিস্ত্রি কথিত সাংবাদি পুলকের সন্ত্রাসী ও চাাঁদাবাজি কার্যক্রম। চলতি বছরের মার্চ মাসে তালাইমারী এলাকায় তার ব্যাবহৃত ডিসকোভার নেভিব্লু /কালো ১৩৫ মডেল যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর রাজ মেট্রো-ল ১১-০৫০০ গাড়িটি তিনজন চড়ে যাওয়ার অপরাধে এক পুলিশ সদস্য গাড়িটি থামিয়ে চাবি বের করেনেয়াকে কেন্দ্র করে সেই পুলিশ সদস্যকে চর থাপ্পর মারেন এই পুলক বাহিনি। এ সময় সেখানে থাকা আরো পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে বিআরটিএ কতৃপক্ষ ও পুলকের কাছের একজনের মারফতে জানা যায় পুলকের ব্যাবহৃত ডিসকোভার নেভিব্লু /কালো ১৩৫ মডেল যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর রাজ মেট্রো-ল ১১-০৫০০ গাড়িটি চোরাই গাড়ি। এর পর থেকে আরএমপি ট্রাফিক বিভাগ ও বিভিন্ন থানা পুলিশ তার ব্যাবহৃত ডিসকোভার নেভিব্লু /কালো ১৩৫ মডেল যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর রাজ মেট্রো-ল ১১-০৫০০ গাড়িটির খোঁজা খুজি শুরু করলে কিছুদিন এই গাড়িটি ব্যাবহার বন্ধ করে রাখে। কয়েকদিন থেকে আবারো সেই অবৈধ্য চোরাই গাড়িটি নিয়ে বিভিন্ন মাদকস্পটে দেখা যাচ্ছে তাকে।
এই সুত্রটি আরো বলেন, শুধু সাধারণ জনগন,পুলিশ ই নয় সে কথিত সাংবাদিক হয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকেউ ছাড় দেয়নি। গত ১২-০৪-২০২২ইং তারিখে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে মহানগরীতে ফেরার পথে এই পুলক বাহিনির প্রধান পুলকসহ ৭/৮জন মিলে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক মো: মোজাম্মেল হোসেন বাবুকে দেশিঅস্ত্রদিয়ে মারধর করে মোবাইল,একটি ট্যাব ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে চলেযায় তারা। এ বিষয়ে সাংবাদিক মো: মোজাম্মেল হোসেন বাবু বাদি হয়ে কাটাখালি পুলকসহ তাদের নামে মামলা করেন। যার নম্বর ১২২/২২। এর পরেও এই মামলায় আসামীরা জামিন নিয়ে কোটথেকে নেমেয় আবারো সাংবাদিক মো: মোজাম্মেল হোসেন বাবুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যার জিডি নম্বর ১৩৬২/২৭-০৪-২০২২।
এদের বিষয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা জানান, আমাদের রাজশাহী মহানগরীতে ডাবপাড়া আলা সাংবাদিক,একজন অটো চালক সাংবাদিক,ছিনতাই কারী ও সন্ত্রাসী সাংবাদিক,দেশদ্রহী মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী সাংবাদিক,মাদকব্যাবসায়অ যখন সাংবাদিক হবে তখন এদের দৌরত্ব থামানো সম্ভব নয়। এই ভুঁইফোড় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের যে কত দাপট তার প্রমাণ পাওয়া যায় এইসকল সাংবাদিকদের ফেসবুক পোষ্ট থেকে। যেখানে তাদের পোস্টের জন্য নিজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেন। তাদের ওই পোস্টে স্থানীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার সাংবাদিকরাও যুক্ত হন।
তারা বলেন, অনেক জায়গা থেকে খবর হয় প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে মানুষ। চাঁদা দাবি করায় জনতা কথিত সাংবাদিককে ধরে পুলিশে দিয়েছে-এমন খবরও সম্প্রতি আমরা দেখেছি। এ ধরনের খবর আবার অনেক সময় যারা প্রকৃত সাংবাদিকতা করে তাদের জন্য অনেকটা হুমকি হয়ে ওঠে। হিতে-বিপরীত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায় ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের জন্য প্রকৃত সাংবাদিকরা কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন। তাহলে অবৈধ এ মিডিয়ার কথিত সাংবাদিকদের এতো দৌরাত্ম্য কীভাবে? দায় কি আমাদের নেই? তাদের ওই পোস্টেই একজন কমেন্টস করেছেন- প্রশাসন অসহায় কথাটা খুবই আজব লাগে। রাষ্ট্র আর প্রশাসনের জোরেই এরা এতোদূর গেছে।