আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলা চালানো ব্যক্তি পুলিশ অভিযান চলাকালীন আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ সময় তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ব্যাপক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান রবার্ট কন্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিটি পুলিশ প্রধান কন্তে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে নর্থওয়েস্ট ওয়াশিংটনে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তি মারা গেছেন।’
তিনি জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি যে অ্যাপার্টমেন্টে ছিল, সেখানে মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা প্রবেশ করতে শুরু করলে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কন্তে বলেন, এ ঘটনায় খোঁজার মতো পুলিশের সন্দেহের তালিকায় আর কেউ নেই।
নিহত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। কর্মকর্তারা তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একাধিক রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ট্রাইপডসহ স্নাইপার সেটআপও ছিল। গুলি চালানোর কারণ এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তবে কন্তে বলছেন, তার উদ্দেশ্যই ছিল আমাদের কমিউনিটির মানুষকে হত্যা করা।
পুলিশের ধারণা, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একাই হামলা চালিয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোনো বন্দুকধারী জড়িত নয়।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পরিচিত ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে কন্তে জানান, প্রাথমিক তথ্য পূর্ববর্তী অপরাধের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এর আগে ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সহকারী প্রধান স্টুয়ার্ট এমেরম্যান ২৩ বছর বয়সী রেমন্ড স্পেন্সারকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তার বিষয়ে তথ্য দিতে নাগরিকদের আহ্বান জানান। কন্তে জানিয়েছেন, স্পেন্সারকে তারা আর খুঁজছে না।
এমেরম্যান জানিয়েছিলেন, দুজন পুরুষকে গুলি করা হয়েছে এবং গুলিতে সামান্য আহত হয়েছে এক মেয়েও। তিনজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পরে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমেরম্যান জানান, ষাটোর্ধ্ব এক নারীও আহত হয়েছেন, তবে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়নি।
গুলিবিদ্ধ চারজনের একজন ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সাবেক সদস্য।