মোঃফয়সাল হোসেন, রাজশাহী:-
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা ৬ নং জাহানাবাদ ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউনিয়নের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়েরর এ ঘটনা ঘটে। আসন্ন ৭ই জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য এই স্কুল কক্ষটি নির্ধারিত ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে এ আগুন লাগানো হয় বলে জানা যায়।
এবিষয়ে জাহানাবাদ ইউনিয়নের সভাপতি ও মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী বাবর আলী বলেন, আমরা শীতের রাত হলেও মতিহার স্কুল মোড়ে রাত্রী ১১ থেকে ১২.৩০ মি: পর্যন্ত অবস্থান করি, এর মধ্যে এ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান হযরত আলীর বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তাই আমার ধারণা এখানেও গভীর রাত ৩ টার পরেই হয়তো কেউ আগুন লাগিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, আমরা শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে জানতে পারি মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে কালো ধোয়া বের হচ্ছে। পরে দেখি সেখানে আগুনে স্কুলের বেঞ্চ পুড়ে আছে। গভীর রাতের ঘটনার জন্য আমরা এখনো জানতে পারিনি কে এখানে এভাবে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের জানালা দিয়ে এ আগুন লাগিয়ে তারা হয়তো চলে গেছে, এজন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে নাইট গার্ড মোজাফ্ফর রাত ২ টা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে ঘুমিয়ে যান, পরে ফজর নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে দেখেন বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ধোয়া। বিষয়টি আমাকে অবগত করিলে আমি গিয়ে দেখি দুইটি বেঞ্চ ও একটি চেয়ার পুড়ে গেছে। সকল বেঞ্চের নির্ধারিত দুরত্ব থাকার কারনে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা সহ থানা পুলিশ উপস্থিত হয়, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (ইউএনও) বলেন,আমি গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের সেই কক্ষের জানালাটির পাল্লা ঠিক নাই, খোলা ছিলো। তাই দুর্বৃত্তরা কেরোসিন তেলের বোতল ভিতরে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে চলে যায়। এতে মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইটি বেঞ্চ ও একটি চেয়ার পুড়ে যায়। বিদ্যালয়ে নাইট গার্ড ছিলো, তবে শীতের রাতের জন্য তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। চেয়ারম্যান ও নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে, আজ থেকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল ভোট কেন্দ্রে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।