মোহনপুর প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর মোহনপুরে “ডাইবেটিস” নামের একটি নতুন জাতের ধান চাষ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বেগুণি রংয়ের এ ধান চাষ হচ্ছে উপজেলার সদর বাকশিমইল ইউনিয়নের সইপাড়া বিলে। চাষ করছেন বাকশিমইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মোমিন শাহ গাবরু।এটি “ডাইবেটিস” জাতের ধান বলে জানান তিনি।
বিলের সবুজ ফসলের খেতে বেগুণি রংয়ের ধানগাছ যেন এলাকার কৃষকদের মনে নতুন চমক ছড়াচ্ছে। বেগুণি রংয়ের রঙিন গাছে কেমন হবে ধানের রং বা স্বাদ তা নিয়েও কৌতুহল রয়েছে কৃষকদের মাঝে।
সরোজমিনে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ওই খেত ঘুরে দেখা গেছে, বৈচিত্রময় ধানের চারা গাছ সম্প্রতিই রোপন করা হয়েছে। ধানের চারা গাছের রং অনেকটা জাম ফলের ভেতর অংশের মতো। পাতায় সাদা ছাপ রয়েছে। প্রায় ০৫ কাঠা জমিতে “ডায়াবেটিস্” জাতের ধান অধুনিক পদ্ধতি অনুস্মরণ করেই চাষ করা হচ্ছে।দুর থেকে দেখলে পাতার রংয়ের কারণে আলাদা রুপ ছড়াচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী খেতে কীটনাশক প্রয়োগকারী একজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ধানটি নতুন আবিষ্কার হয়েছে। এ অঞ্চলে এটিই প্রথম চাষ। এটি খুব দামী একটি ধান। প্রতি কেজি ধান বিক্রি হবে প্রায় ৭শ টাকা থেকে ৮শ টাকা কেজি পর্যন্ত। সুস্বাদু ধানটি প্রথম চাষ হিসেবে অনেক মানুষ দেখতে আসছে। অন্য কৃষকরাও চাষের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
জমির মালিক আল মোমিন শাহ গাবরু বলেন,শুনেছি ধানটি মুলত ডায়াবেটিস রোগিদের ভাতের জন্য প্রজোয্য । আমি নিজেই রোগি হিসেবে খুব আগ্রহ নিয়ে ৫শ টাকা কেজি দরে এ ধানের বীজ ঢাকা থেকে সংগ্রহ করি। প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৫ কাঠা জমিতে রোপন করেছি। আমার পরে অনেকেই এ ধান চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এটি লাভজনক হবে বলে আমি আশাবাদী ।
মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. রহিমা খাতুন বলেন, গত দু-বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ধান চাষ শুরু হয়েছে। এজাতীয় ধানের অধিকাংশই হাইব্রিড। আর হাইব্রিড ধানের বিজ সাধারণত চাইনা থেকে আসে। এছাড়াও বিভিন্ন বিজ কোম্পানি নতুন ধানের বিজ আবিষ্কার করছেন। সইপাড়া বিলে রোপণ করা ধানের ব্যাপারে আমার জানা নেই। জেনে বিস্তারিত বলবো।