নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে অতীতে কখনো লাগাতার ইফতার বিতরণ করেন নি কেউ। সেই সাথে সবার মাঝে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের নতুন জামা কাপড় বিতরণও অব্যাহত ভাবে করেই চলেছেন তরুন উদীয়মান সমাজ সেবক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন।
তিনি স্হানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর পক্ষে এসব কিছু নিজের তহবিল থেকে করছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু ছিন্ন মুল অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের ঈদ আনন্দ দিতে এমন মহতি কাজ করে প্রশংসায় ভাসছেন সুজন। তার এধরণের সেবা মুলুক কাজের জন্য সবার মাঝে সুজনের প্রশংসা। বিশেষ করে রমজানের শুরু থেকে তানোর পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে, মোড়ে নানান শ্রেনী পেশার মানুষের দ্বারে দ্বারে ইফতার বিতরণ ছিল অন্যতম ধর্মীয় সেবা। কোথাই নেই সুজনের অনুদান। সকল ধরনের মানুষের মাঝে এখন একটিই নাম সুজন।
জানা গেছে, আবুল বাসার সুজন দীর্ঘ দিন ধরে নানা ধরনের ব্যবসা ও সামাজিক কাজ করে আসছেন। তিনি যেমন ধার্মিক তেমনি ভাবে একজন প্রকৃত সেবক হিসেবে ইতিপূর্বেই পরিচিত লাভ করছেন। কারো অসুস্থতার কথা শোনেছেন ছুটে গেছেন তরুন প্রজন্মের আইকন আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন।
অবশ্য সুজন বিগত পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন দাবি করেছিলেন। না পেলেও জনগণের সেবা করেই যাচ্ছেন তিনি। যার কারনে তানোর পৌরসভার আপামর জনগণের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন সুজন। তিনি স্হানীয় সাংসদের অত্যান্ত আস্হাভাজন। সুজনকে ছোট ভাই হিসেবেও সম্বোধন করে থাকেন সাংসদ।
আমার দেখা, যে কোন ব্যাক্তির যে কোন সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিত সুজন। তার পুরো নাম আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন হলেও সবাই সুজন বলে ডেকে থাকেন। একটা বিনয়ী ধার্মিক সদা হাশ্যজ্জল এই সুজন। কখনই তার ভিতরে নিরাশা হতাশা দেখা যায় না। তিনি যেন তানোর পৌর বাসীর এক নিয়ামত। কারন যারাই তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন তারাও আজ তার ভক্ত বা অনুসারী।
তার মাধ্যমে অনেকে নানা ধরনের কর্ম করে জীবন যাপন করছেন শাস ছন্দে। এমন অনেক নজির রয়েছে।
পৌর এলাকার বেশ কিছু সিনিয়র সচেতন নাগরিকরা জানান, আমাদের জানা মতে সুজনের মত নিঃস্বার্থ ভাবে কেউ এসব সেবা করেছেন বলে আমাদের মনে হয় না। আমরা তারমত ব্যক্তি কম দেখেছি। তার সেবায় কোন দলমত নেই। এজন্যই তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই পৌরবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আবুল বাসার সুজন জানান, এই রমজান মাস আমাদের গুনাহ মাপের মাস। আমি চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকতে। আমি যা কিছু করছি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। যতদিন মহান আল্লাহ আমাকে হায়াত দান করবেন ততদিন যেন মানুষের সেবা করতে পারি। এটাই আমার চাওয়া পাওয়া। আমি তানোর পৌর বাসীসহ সবাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সেই সাথে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ উৎসব বয়ে যাক সবার ঘরেঘরে। তিনি আরো বলেন আমার বড় ভাই বরেন্দ্র ভুমির পোড়া মাটির শহীদ পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী একজন সাদা মনের রাজনীতি বিদ এবং তিনি তানোরকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিতে তার চিন্তা চেতনা ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছি। তার একান্ত প্রচেষ্টায় এই উপজেলার জনসাধারণ অনেক শান্তি তে রয়েছেন। নেই কোন চাঁদাবাজি, নেই কোন টেন্ডার বাজি, নেই কোন দালালি, নেই কোন মামলা বাজি। ফারুক চৌধুরী সাংসদ আছেন বলেই এঅবস্হার মধ্যে শান্তি পূর্ণ ভাবে চলাফেরাসহ যাবতীয় সবকিছু করছি। আমরা সেটা বুঝতে পারছিনা। আল্লাহ না করুন তার কিছু হলে তখন হাড়েহাড়ে টের পাব তার অভাব। তাই সবকিছু ভুলে গিয়ে আমরা যেন তার ছায়াতলে এসে তানোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।