আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদকঃসবকালে সব সমাজে কিছু ভালো মানুষ থাকেন যারা নামে-দামে খুব বিখ্যাত কেউ নন কিন্তু গুণে-মানে নীরবে-নিভৃতে সমাজের ভালো কাজের করার জন্য আলোকশিখা হয়ে দীপ্যমান হয়ে থাকেন। আমরা ভাষার সৌকর্য আর সুনামে সিক্ত করে তাদের বলি ‘সাদা মনের মানুষ’। তাদের অনেকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন, এখনও আছেন, শহর-নগর থেকে দূরে, গ্রামে-গঞ্জে, নিভৃত জনপদে। তেমনি একজন সাদা মনের বৃক্ষপ্রেমী মানুষ রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার মীরপুর গ্রামের আজিজুর রহমান খাঁন।
প্রথাগত বিখ্যাত কেউ নন তিনি, কিন্তু মুক্ত চিন্তা-চেতনায় লালিত করা একজন বৃক্ষপ্রেমী সাদা মনের মানুষ। জীবনাচরণে সহজ-সরল মানসিকতায় উজ্জীবিত আজিজুর রহমান খাঁন। নীরবে-নিভৃতে যাপিত জীবনের ‘সত্যিকার ভালো মানুষ’ হিসেবেই তার এলাকার মানুষ
জানে। তিনি পেশায় একজন ফটোগ্রাফার। আর তার এ ব্যবসা হতে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায় এবং সেখান থেকে কিছু অর্থ বাঁচিয়ে সে অর্থ দিয়ে বিভিন্ন দেশী বিদেশী ফুল ও ফলের চারা ক্রয় করে নিজ খরচ দীর্ঘদিন হতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, সরকারি অফিস ও বাড়ীতে বাগান রোপন করে থাকেন। তার এ কাজের জন্য এলাকার মানুষের ভালবাসে তিনি সিক্ত। তাই বৃক্ষপ্রেমী সাদা মনের হৃদয়বান মানুষকে নিয়েই নিবন্ধের অবতারণা।
রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মৃত লোকমান হেকিম খানের বড় ছেলে আজিজুর রহমান খাঁন। অভাবের সংসার হওয়ায় লেখা পড়ায় হাইস্কুলের গন্ডি পেরোতে পারেনি আজিজুর। তাই দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ফটোগ্রাফারের কাজ শিখতে যোগ দেন স্থানীয় বাজারের একটি দোকানে। সেখানে কাজ শিখে নিজে একটি দোকান দেন। ব্যবসার ফাঁকে চলে তার বিনামূল্য বৃক্ষ রোপনের কাজ। এভাবেই সে এলাকায় বৃক্ষপ্রেমী আজিজুর নামে পরিচিত লাভ করেন। বর্তমানে যেখানেই ডাক পড়ে সেখানেই ফুল ফলের চারা নিয়ে ছুটে চলে। মীরপুর গ্রামের ভুট্রু জানান, আজিজুর ছোট বেলা হতে সেচ্ছায বিনামূল্যে বৃক্ষ রোপনসহ সমাজের বিভিন্ন ভাল কাজ করে থাকেন। তার এ ধরনের কাজের জন্য গ্রামের সবাই তাকে প্রচন্ড ভালবাসেন। মোহনপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রিয়াংকা দাস বলেন, আজিজুর একজন সত্যি ভাল মনের মানুষ। তিনি আমার অফিস চত্বরে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির চারা দিয়ে ফুল বাগান তৈরী করে দিয়েছেন। যা সত্যিই প্রসংশোনীয়।