বাঘা ( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় প্রধান শিক্ষকের থাপ্পড়ে ৭তম শ্রেণীর ছাত্রের কানের পর্দা ফাটার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা উপজেলার খান পর উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্র সাব্বির আহমেদ এর সাথে।
সাব্বির আহমেদ খানপুর গ্রামের নাহারুল ইসলামের ছেলে। সে খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর “খ” শাখার ছাত্র। এক শিক্ষকের কথায় অন্য ছাত্রকে ডাকতে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান এর হাতে থাপ্পড় খেতে হয় তাকে। আর সেই থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটেছে তার এমনি অভিযোগ সাব্বির সহ তার পরিবারের।
ছাত্র সাব্বির আহমেদ বলেন, গত ২৪ তারিখ রবিবার স্কুল চলাকালীন সময়ে মিলন স্যার আমাকে এক ছাত্রকে ডেকে আনতে বলে। আমি স্যার এর কথায় ডাকতে গেলে দেখি ওদের ক্লাস নিচ্ছে ইদ্রিস স্যার। তখন আমি ইদ্রিস স্যার কে বিষয়টি বলি। মিলন স্যার ওই ছাত্রকে কেন ডাকছে ইদ্রিস স্যার আমাকে প্রশ্ন করে, উত্তরে আমি জানিনা স্যার বলি। তখন স্যার আমাকে বলে তুই জানিস আমাকে বলতে হবে কেন ডাকছে। আমি আবার জানিনা উত্তর দিলে স্যার আমাকে হেড স্যার এর রুমে নিয়ে যায় এবং স্যার কে বলে আমি নাকি তার সাথে বেয়াদবি করেছি। কথাটি শুনার সঙ্গে সঙ্গে হেড স্যার আমার উপর তিন/চারটি থাপ্পড় মাড়ে, স্যারকে আমি বলি স্যার আমি কোন দোষ করিনি আমাকে মারছেন কেন? হেড স্যার আমাকে আবার থাপ্পড় মাড়ে এবং ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বলে তোকে লাল কালি মেরে দিব, তোর মত বেয়াদব ছাত্র স্কুলে না থাকলে স্কুলের কিছুই হবেনা। স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার পর আমি বাসায় চলে আসি এবং কানে ব্যাথা অনুভব করতে থাকি। বাড়িতে কানে ব্যথার কথা জানালে আব্বা আমাকে প্রথমে বাঘা পরে রাজশাহী ডাক্তার দেখায়। রাজশাহীর ডাক্তার পরিক্ষা নিরিক্ষার পর বলে তোমার কানের পর্দা ফেটে গেছে। এখন কানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। দীর্ঘ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন বলে এক মাস পর আবার যেতে হলে।
বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পারা যায়, কিছুদিন আগে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান তার পরিবারের তিনজনকে নিজ বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেন অতি গোপনে।বিষয়টি জানা জানি হলে শিক্ষকমন্ডলী ও এলাকাবাসীর মধ্যে হট্টোগলের সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষক পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে তার রাগ ছাত্রের ওপরে ওঠায়। ছেলেকে যখন আঘাত করে তখন সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়োগ ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক হয় রাগের মাথায় ছেলেটিকে এভাবে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফেটিয়ে দেয়।
গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ছাত্রটি তার অভিভাবকদের সাথে আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের উভয় পক্ষকে বসে সমঝোতা করার কথা বলেছি। আমি চাই যে কোন ভাবে ছাত্রটির সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। কারণ এটি তার সারাজীবন এর ব্যাপার। আর জেপি বিদ্যালয়ে ৩টি নিযোগ কার্যক্রম করে প্রধান শিক্ষক একাই গোপনে।আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকেও কিছুই জানতে পারিনি।এবিষয়ে চরম উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে এলাকায়।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, সাব্বির ফুটবল খেলতে গিয়ে কানে আঘাত পাই। প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য আমি তাকে বকাঝকা করেছি। তাছাড়া কোন প্রকার শারিরীক প্রহারের ঘটনা ঘটেনি। একটি পক্ষ আমার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করে এই সকল মিথ্য কথা বলে বেরাচ্ছে।